Skip to Content
একাত্তরের অজানা অধ্যায় : এক খলিফার বয়ান

Price:

280.00 ৳


Fearless Freedom (Penguin)
Fearless Freedom (Penguin)
600.00 ৳
600.00 ৳
ছায়াছবির ছায়াপথে
ছায়াছবির ছায়াপথে
400.00 ৳
400.00 ৳

একাত্তরের অজানা অধ্যায় : এক খলিফার বয়ান

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/22680/image_1920?unique=f760e98

280.00 ৳ 280.0 BDT 280.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

যখন আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে থাকি তখন মুজিব ভাইয়ের মেজ ছেলে শেখ জামাল। আমাকে মুখে আঙুল দিয়ে নিশ্ৰুপ থাকতে বলেন। আমাকে নিঃশব্দে সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসার ইশারা করে শেখ জামাল ফিসফিস করে বলে আপনাকে আমি এমন একটা মজার নাটক দেখাবাে যা আপনি এর আগে কখনাে দেখেননি। আমি তার কথা মতাে পা টিপে টিপে দোতলায় উঠে শােবার ঘরের বারান্দা থেকে শেখ জামালের ইঙ্গিত মতাে নাটকটি দেখে এতটাই হতবাক হয়েছিলাম যে, মূচ্ছা যাওয়া অসম্ভব কিছু ছিল না। দেখি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর বুকে অদ্ভুত একটি কায়দায় তার দাড়ি ঘষছেন... মুজিব ভাই চেহারায় একটা গাম্ভীর্যের ভাব এনে আমার হাতে দুই পৃষ্ঠার কাগজ ধরিয়ে দিলেন। আমি ত্বরিতগতিতে পৃষ্ঠা দুটির ওপর চোখ। বুলিয়ে দেখলাম যে, ওটা ছিল নবগঠিত। ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত প্যানেল । আমি আড় চোখে দেখে নিলাম। আমি যখন প্যানেল পড়ছিলাম তখন মুজিব ভাই নির্বিকারভাবে পাইপ দিয়ে ধূমপান করছিলেন এবং তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে আমার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন। যদিও প্যানেলে সভাপতি হিসেবে আমার নাম রাখা হয়েছে তবুও আমাদের প্রথিতযশা ছাত্রনেতাদের সহ আমাদের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশেরও কম।

কাজল ঘোষ

কাজল ঘোষ পুঁথিগত হিসাবে জন্ম ৩০ জুন ১৯৭৭-এ। বাবা সচিন্দ্র চন্দ্র ঘােষ। মা সীতা রানী ঘােষ। শৈশব কেটেছে কিশােরগঞ্জের কুলিয়ারচরের কালী নদীর জল-হাওয়ায়। বাড়িতে ধারাপাত আর আদর্শলিপির পাঠ না চুকাতেই কুলিয়ারচর মডেল প্রাইমারি স্কুলে। নাম লেখান। পরে পারিবারিক আর্থিক সংকটে রাজধানী ঢাকায় এসে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। শহীদ নবী স্কুলে। সেখান থেকে আর কে চৌধুরী হাই স্কুল এবং ওয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন। নটরডেম কলেজ থেকে একাদশ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে দ্বাদশ আর জগন্নাথ থেকে মাস্টার্স করেন ব্যবস্থাপনায়। পরে পেশাগত কারণে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলা অ্যান্ড মিডিয়ায় মাস্টার্স ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ। ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাজীবন শেষ হলেও কর্মজীবন শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে। ১৯৯৬ সালে দৈনিক মুক্তকণ্ঠ পত্রিকায় লেখালেখি শুরু। পরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কিশাের-তরুণদের উৎকর্ষধর্মী মাসিক পত্রিকা ‘আসন্ন সম্পাদনা। ১৯৯৯ সালে দৈনিক প্রভাত পত্রিকায় সহকারী ফিচার সম্পাদক। ২০০৫ সাল। থেকে মানবজমিন প্রকাশিত রাজনৈতিক সাপ্তাহিক ‘জনতার চোখ’-এর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে মানবজমিনে বার্তা সম্পাদক পদে কাজ করছেন। সাহিত্য চর্চা ও লেখালেখির পাশাপাশি সমমাত্রায় আগ্রহ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র মাধ্যমে। যুক্ত আছেন চ্যানেল আইতে সংবাদভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রযােজনায়।

Title

একাত্তরের অজানা অধ্যায় : এক খলিফার বয়ান

Author

কাজল ঘোষ

Publisher

Karubak

Number of Pages

126

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Liberation War
  • First Published

    MAY 2017

    যখন আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে থাকি তখন মুজিব ভাইয়ের মেজ ছেলে শেখ জামাল। আমাকে মুখে আঙুল দিয়ে নিশ্ৰুপ থাকতে বলেন। আমাকে নিঃশব্দে সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসার ইশারা করে শেখ জামাল ফিসফিস করে বলে আপনাকে আমি এমন একটা মজার নাটক দেখাবাে যা আপনি এর আগে কখনাে দেখেননি। আমি তার কথা মতাে পা টিপে টিপে দোতলায় উঠে শােবার ঘরের বারান্দা থেকে শেখ জামালের ইঙ্গিত মতাে নাটকটি দেখে এতটাই হতবাক হয়েছিলাম যে, মূচ্ছা যাওয়া অসম্ভব কিছু ছিল না। দেখি সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর বুকে অদ্ভুত একটি কায়দায় তার দাড়ি ঘষছেন... মুজিব ভাই চেহারায় একটা গাম্ভীর্যের ভাব এনে আমার হাতে দুই পৃষ্ঠার কাগজ ধরিয়ে দিলেন। আমি ত্বরিতগতিতে পৃষ্ঠা দুটির ওপর চোখ। বুলিয়ে দেখলাম যে, ওটা ছিল নবগঠিত। ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত প্যানেল । আমি আড় চোখে দেখে নিলাম। আমি যখন প্যানেল পড়ছিলাম তখন মুজিব ভাই নির্বিকারভাবে পাইপ দিয়ে ধূমপান করছিলেন এবং তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে আমার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন। যদিও প্যানেলে সভাপতি হিসেবে আমার নাম রাখা হয়েছে তবুও আমাদের প্রথিতযশা ছাত্রনেতাদের সহ আমাদের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশেরও কম।
    No Specifications