গ্যালিলিও

আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মের জন্য যে কোনাে একক ব্যক্তির চেয়ে গ্যালিলিওর অবদান বেশি। তিনি চিরায়ত পদার্থবিদ্যার প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। গ্যালিলিও প্রথম বিপ্লব আনেন বলবিদ্যায়। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের শিক্ষা ছিল, হালকা বস্তুর চেয়ে ভারী বস্তু দ্রুতগতিতে নিপতিত হয়। পরবর্তী প্রজন্মসমূহের পণ্ডিতরা এই মতবাদকে মেনে নিয়েছিলেন। গ্যালিলিও এ মতবাদকে যাচাই করতে মনস্থ করেন। তিনি পরপর অনেকগুলাে পরীক্ষণকাজ পরিচালনা করেন। তিনি দেখতে পান, অ্যারিস্টটলের মতবাদ সঠিক নয়। আসল ঘটনা হলাে, ভারী ও হালকা বস্তু একই বেগে পতিত হয়। বেগমাত্রার তারতম্য সৃষ্টি। হয় বায়ুর সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে। টলেমি বলেছিলেন, পৃথিবী স্থির রয়েছে। সূর্যসহ সব গ্রহ তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। অ্যারিস্টটলও তা-ই বলে গেছেন। এই মতবাদ চলে আসছিল দুই হাজার বছর ধরে। কিন্তু গ্যালিলিও এই মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। তার মতে পৃথিবীসহ সব গ্রহ সূর্যকেই প্রদক্ষিণ করছে। কিন্তু এ চিন্তাধারার সমর্থনে প্রয়ােজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার পরই তিনি জনসাধারণের সম্মুখে এ চিন্তাধারা সমর্থন করা শুরু করেন। এর ফলে অ্যারিস্টটলবাদী পণ্ডিতরা বিরক্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হন। এ মতবাদকে নিষিদ্ধ করার জন্য ক্যাথলিক চার্চকে প্ররােচিত করতে থাকেন। গ্যালিলিও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে রােমের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর কী হলাে? জানতে হলে পড়তে হবে এই জীবনীগ্রন্থ।