Skip to Content
মশলার যুদ্ধ

Price:

80.00 ৳


মলাট : ডিসেম্বর ২০১০
মলাট : ডিসেম্বর ২০১০
30.00 ৳
30.00 ৳
মহিমান্বিত জুমুআ
মহিমান্বিত জুমুআ
88.00 ৳
110.00 ৳ (20% OFF)

মশলার যুদ্ধ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/44039/image_1920?unique=cbf2c4f

80.00 ৳ 80.0 BDT 100.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মসলার বাণিজ্য করে কালিকট রাজ্য এককালে সমৃদ্ধিলাভ করেছিল। সেই সমৃদ্ধি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল পর্তুগালের--কালিকটে অধিকার বিস্তার উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু হয় পঞ্চদশ শতকে। কিন্তু শুধু কালিকট নয়। মসলার উৎপাদন বিস্তৃত হয়েছিল পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে। পর্তুগালের দেখানো পথ ধরে সেখানে এলো ওলন্দাজরা, তারপর ইংরেজরা--সপ্তদশ শতাব্দীতে। মসলার লোভে ইউরোপীয় শক্তিসমূহের অভিযান এবং ভারত ও পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের উপনিবেশ-স্থাপনের বিচিত্র কাহিনী এ গ্রন্থে বিবৃত হয়েছে অত্যন্ত চিত্তাকর্ষকরূপে। শুধু ইতিহাসের তথ্য নয়, এর অন্তরালবর্তী সত্যই লেখককে আকর্ষণ করেছে বেশি। তাই যে-সব শক্তি ইতিহাসের ধারাকে গতি দেয়, সেগুলো উদ্ঘাটন করেছেন লেখক। সে যুগের মানুষের জীবনযাত্রার নানা দিক তুলে ধরেছেন তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে। একদিকে উপনিবেশ-স্থাপন ও সাম্রাজ্য-বিস্তার, কুৎসিত লোভ ও বর্বর অন্যায়, মানুষের জীবনযাত্রা-নিয়ন্ত্রণের ঔপনিবেশিক প্রচেষ্টা; অন্যদিকে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতারক্ষার সংগ্রাম, দেশীয় শক্তি ও সম্পদ বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা, বেঁচে থাকবার প্রাণান্ত প্রয়াস। ‘মসলার যুদ্ধ’ তারই ইতিবৃত্ত।”

সত্যেন সেন

সত্যেন সেন (২৮ মার্চ, ১৯০৭-৫ জানুয়ারি, ১৯৮১) হলেন প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘ উদীচী সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি বিপ্লবী, সাহিত্যিক এবং শ্রমিক-সংগঠক। ১৯৬৯ সালে বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লা কায়সারসহ একঝাঁক তরুণ উদীচী গঠন করেন। জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে। উদীচী ’৬৮, ’৬৯, ’৭০, ’৭১, সালে বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। [১] এ সংগ্রাম গ্রামবাংলার পথেঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এদেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারার সংস্কৃতি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সত্যেন সেনের সৃষ্টিকর্ম ও সাহিত্য হলো সমাজ বাস্তবতার স্পষ্ট প্রকৃতি-স্বরূপের প্রতিচ্ছবি। তার জীবনের সকল কিছুতেই মৌলিক বিষয় হিসেবে কাজ করেছে মানুষের জীবন-সংগ্রাম ও শ্রম-সভ্যতার ইতিহাস। স্বাধীনতার পর তিনি উদীচী পুনর্গঠনের কাজ করেন। সাহিত্য চর্চাও অব্যহত রাখেন। গান মাধ্যমে মানুষকে জাগরিত করা সহজ। এই উপলব্দি নিয়ে গণমানুষের জন্য মানুষের জীবন বাস্তবতার গান রচনা করেছেন। তার গানের মূল বিষয়বস্তু হলো অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, শোষণমুক্তির জন্য আন্দোলন ও সাম্য-সুন্দর মানুষের পৃথিবী নির্মাণ। গান রচনার মাধ্যমেই মূলত তার লেখালেখি জগতে আশা। পাশাপাশি গানের সুর করা ও গান শেখানোর কাজও তিনি করেছেন। শ্রমিকদের নিয়ে তিনি তাঁদের নিয়ে গান এবং পালা রচনা করতেন। গানের দল গঠন করে শ্রমিকদের এ কবিগান তিনি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ পরিবেশন করতেন। তার লেখা ১১টি গানের মধ্যে ‘চাষি দে তোর লাল সেলাম/তোর লাল নিশানারে’ গানটি তখন চাষিদের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৫৬ সালে বিক্রমপুরের ষোলঘরে কৃষক সমিতির সম্মেলনে প্রথম তারই নেতৃত্বে গানটি গাওয়া হয়। এছাড়া সত্যেন সেন গানের মাধ্যমে বরিশালে মনোরমা বসু মাসিমার ‘মাতৃমন্দিরের’ জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। সত্যেন সেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের বাঁকে তিনি কোথাও আপোস করেননি। যারা করেছে, তাদেরকে তিনি ঘৃণা করতেন। তিনি মূলত কোনো লেখাই লেখার জন্য লিখতেন না। তিনি লিখতে মানূষের অধিকারের কথাগুলো। প্রথমে দৈনিক ‘মিল্লাত’ পরবর্তী সময়ে দৈনিক ‘সংবাদ’র মাধ্যমে সত্যেন সেন সাংবাদিকতা করেছেন। সত্যেন সেনের সাহিত্যকর্ম সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার একটি নিদর্শন এবং বাংলা সাহিত্যের অনন্য পথিকৃৎ। মানুষের জীবন ও ইতিহাসকে যে রচনাকার সামগ্রীকভাবে অবলোকন করতে সক্ষম না হন, যিনি মানব সমাজটাকে তার বর্তমানের সকল বৈষম্য দূর করে সঙ্গতিপূর্ণ এক মানব সমাজ সৃষ্টিতে নিজেকে উৎসর্গ না করেন এবং যিনি দূরগামী সেই লক্ষ্যকে নিত্য মুহূর্তের কর্ম ও আচরণের সঙ্গে যুক্ত করতে না পারেন, তার পক্ষে সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার অনুপ্রেরণাদায়ক সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়। কিন্তু ১৯৭৩ সালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। চিকিৎসার জন্য চলে যান ভারতে। আশ্রয় নেন শান্তি নিকেতনের মেজদিদি প্রতিভা সেনের কাছে। সাহিত্য চর্চা ও অসুস্থতার মাঝে চলে যায় ৮টি বছর। শান্তি নিকেতনের গুরুপল্লীতে ১৯৮১ সালে ৫ জানুয়ারি তিনি মারা যান।

Title

মশলার যুদ্ধ

Author

সত্যেন সেন

Publisher

Dyu Prokashon

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History-M
  • মসলার বাণিজ্য করে কালিকট রাজ্য এককালে সমৃদ্ধিলাভ করেছিল। সেই সমৃদ্ধি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল পর্তুগালের--কালিকটে অধিকার বিস্তার উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু হয় পঞ্চদশ শতকে। কিন্তু শুধু কালিকট নয়। মসলার উৎপাদন বিস্তৃত হয়েছিল পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে। পর্তুগালের দেখানো পথ ধরে সেখানে এলো ওলন্দাজরা, তারপর ইংরেজরা--সপ্তদশ শতাব্দীতে। মসলার লোভে ইউরোপীয় শক্তিসমূহের অভিযান এবং ভারত ও পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের উপনিবেশ-স্থাপনের বিচিত্র কাহিনী এ গ্রন্থে বিবৃত হয়েছে অত্যন্ত চিত্তাকর্ষকরূপে। শুধু ইতিহাসের তথ্য নয়, এর অন্তরালবর্তী সত্যই লেখককে আকর্ষণ করেছে বেশি। তাই যে-সব শক্তি ইতিহাসের ধারাকে গতি দেয়, সেগুলো উদ্ঘাটন করেছেন লেখক। সে যুগের মানুষের জীবনযাত্রার নানা দিক তুলে ধরেছেন তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে। একদিকে উপনিবেশ-স্থাপন ও সাম্রাজ্য-বিস্তার, কুৎসিত লোভ ও বর্বর অন্যায়, মানুষের জীবনযাত্রা-নিয়ন্ত্রণের ঔপনিবেশিক প্রচেষ্টা; অন্যদিকে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতারক্ষার সংগ্রাম, দেশীয় শক্তি ও সম্পদ বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা, বেঁচে থাকবার প্রাণান্ত প্রয়াস। ‘মসলার যুদ্ধ’ তারই ইতিবৃত্ত।”
    No Specifications