Skip to Content
কর্ণ (হরিশংকর জলদাস)

Price:

480.00 ৳


করোনা উপাখ্যান অতিমারি শাসনে এক পরিবারের কলম যুদ্ধ
করোনা উপাখ্যান অতিমারি শাসনে এক পরিবারের কলম যুদ্ধ
400.00 ৳
500.00 ৳ (20% OFF)
কর্তাভজা, দেহবাদ, লোকতন্ত্র
কর্তাভজা, দেহবাদ, লোকতন্ত্র
376.00 ৳
470.00 ৳ (20% OFF)

কর্ণ (হরিশংকর জলদাস)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/12461/image_1920?unique=d949ece

480.00 ৳ 480.0 BDT 600.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

কর্ণ মহাভারতের সর্বাধিক অবহেলিত অথচ অপরিহার্য চরিত্র । জন্মমাত্র মা কুন্তী সমাজভয়ে তাকে নদীতে বিসর্জন দেন। ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ করেও বর্ণাধম সূতপুত্রের অপমান সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছে কর্ণকে । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ যখন বাধে, এই রাধেয় কৰ্ণ সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সহোদরদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে নামতে হয় তাকে। জননী কুন্তী স্বার্থপর এক নারীরূপে কর্ণের সামনে উপস্থিত হন । মায়ের আত্মপরতা বুঝেও মাকে খালি হাতে ফেরায় না কৰ্ণ । কর্ণের জীবনে গভীর এক উদাসীনতা নেমে আসে ৷ দানশীলতায় মগ্ন হয়ে পড়ে। দেবরাজ ইন্দ্রকে চিনতে পেরেও রক্ষাকবচ তাঁর হাতে তুলে দেয়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে আরেকজনের হাতে তুলে দেবে বলে প্রাণটা রক্ষা করে চলে ।কার হাতে তুলে দেবে প্রাণটি? কোন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবার জন্য প্রাণবিসর্জনকে তোয়াক্কা করে না কর্ণ? পঞ্চপাণ্ডব কারা? তারা কি প্রকৃতই পাণ্ডুপুত্র? কুন্তী কি স্বামীনিষ্ঠ? কৃষ্ণ কি দেবতা? না দেবতার আড়ালে দুর্দান্ত এক বর্ণবাদী কূটকৌশলী? কর্ণের কাছে মাতৃত্ব বড়, বন্ধুত্ব শ্রেয়? এসব প্রশ্নের অনুপুঙ্খ উত্তর আছে ‘কর্ণ’ নামের এই উপন্যাসে । হরিশংকর জলদাসের ভাষা এখানে তীব্রভাবে আকর্ষণীয়।

Harisankar Jaladas

হরিশংকর জলদাস প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হরিশংকর জলদাস ১৯৫৫ সালের ১২ই অক্টোবর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের এক জেলে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা যুধিষ্ঠির জলদাস পেশায় ছিলেন একজন জেলে। ফলে আর্থিক অভাব অনটন আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনই ছিল হরিশংকরের বেড়ে ওঠার সঙ্গী। হরিশংকর জলদাসের শৈশব-কৈশোর কাটে পতেঙ্গার কৈবর্তপাড়ায়। তার বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে জেলের জীবনযুদ্ধে না জড়িয়ে শিক্ষিত করবেন যেন ছেলে সম্মানের জীবনযাপন করতে পারে। হরিশংকরের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় দেবেন্দ্রলাল দে’র আদাবস্যার নামের এক পাঠশালায়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে তিনি ভর্তি হন পতেঙ্গা বোর্ড প্রাইমারি স্কুলে। ১৯৭১ সালে পতেঙ্গা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করে বাবার স্বপ্ন পূরণে আরো একধাপ এগিয়ে যান হরিশংকর। 'জাইল্যা' ঘরের সন্তান বলে তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে, শুনতে হয়েছে ‘জাওলার ছাওয়াল’ কটুক্তি। সেই কথার উচিত জবাব দিতে তিনি ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ‘নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্ত জনজীবন’ বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এখানে তিনি জেলেদের জীবনের সকল আনন্দ-বেদনা, উৎপত্তি-বিকাশ, তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন ইত্যাদি তুলে ধরেন। পেশাগত জীবনে হরিশংকর জলদাস চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। কিন্তু কর্মজীবনের শুরুতে অভাবের দিনগুলোতে তিনি দিনে শিক্ষকতা এবং রাতে বাবার সাথে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন। ৪৭ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘জলপুত্র’ লেখেন। এরপর, ক্রমাগত বাজারে আসতে থাকে হরিশংকর জলদাসের নতুন বই। হরিশংকর জলদাসের বইগুলোতে সবসময়ই উঠে এসেছে নিপীড়িত, প্রান্তিক এবং নিচুতলার মানুষের কথা। হরিশংকর জলদাসের উপন্যাসসমগ্র সমৃদ্ধ হয়েছে ‘আমি মৃণালিনী নই’, ‘হৃদয়নদী, ‘রামগোলাম’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ইত্যাদি চমৎকার উপন্যাসের মাধ্যমে। হরিশংকর জলদাসের ছোটগল্প ‘লুচ্চা’, ‘জলদাসীর গল্প’, ‘মাকাল লতা’ প্রভৃতিও পাঠকপ্রিয়। এছাড়া দুটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন তিনি। ‘কসবি’, ‘দহনকাল’, ‘জলপুত্র’ হরিশংকর জলদাস এর সেরা বই। মধ্যবয়সে লেখা শুরু করলেও সাহিত্যকর্মে নতুন মাত্রা যোগ করায় তিনি বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০১১ সালে ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার’ (দহনকাল), ২০১৩ সালে ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’ (জলপুত্র), ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ (প্রতিদ্বন্দ্বী), ‘বাংলা অ্যাকাডেমি পুরষ্কার’, ‘সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার’ সহ ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তিনি পেয়েছেন ‘একুশে পদক’।

Title

কর্ণ (হরিশংকর জলদাস)

Author

Harisankar Jaladas

Publisher

Kathaprokash

Number of Pages

252

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Historical Novel
  • First Published

    FEB 2023

    কর্ণ মহাভারতের সর্বাধিক অবহেলিত অথচ অপরিহার্য চরিত্র । জন্মমাত্র মা কুন্তী সমাজভয়ে তাকে নদীতে বিসর্জন দেন। ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ করেও বর্ণাধম সূতপুত্রের অপমান সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছে কর্ণকে । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ যখন বাধে, এই রাধেয় কৰ্ণ সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সহোদরদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে নামতে হয় তাকে। জননী কুন্তী স্বার্থপর এক নারীরূপে কর্ণের সামনে উপস্থিত হন । মায়ের আত্মপরতা বুঝেও মাকে খালি হাতে ফেরায় না কৰ্ণ । কর্ণের জীবনে গভীর এক উদাসীনতা নেমে আসে ৷ দানশীলতায় মগ্ন হয়ে পড়ে। দেবরাজ ইন্দ্রকে চিনতে পেরেও রক্ষাকবচ তাঁর হাতে তুলে দেয়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে আরেকজনের হাতে তুলে দেবে বলে প্রাণটা রক্ষা করে চলে ।কার হাতে তুলে দেবে প্রাণটি? কোন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবার জন্য প্রাণবিসর্জনকে তোয়াক্কা করে না কর্ণ? পঞ্চপাণ্ডব কারা? তারা কি প্রকৃতই পাণ্ডুপুত্র? কুন্তী কি স্বামীনিষ্ঠ? কৃষ্ণ কি দেবতা? না দেবতার আড়ালে দুর্দান্ত এক বর্ণবাদী কূটকৌশলী? কর্ণের কাছে মাতৃত্ব বড়, বন্ধুত্ব শ্রেয়? এসব প্রশ্নের অনুপুঙ্খ উত্তর আছে ‘কর্ণ’ নামের এই উপন্যাসে । হরিশংকর জলদাসের ভাষা এখানে তীব্রভাবে আকর্ষণীয়।
    No Specifications