Skip to Content
বোধ চকিতে পাওয়া উপলব্ধি

Price:

160.00 ৳


বেসিক আলী ১৩
বেসিক আলী ১৩
176.00 ৳
220.00 ৳ (20% OFF)
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ইকারাস
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ইকারাস
180.00 ৳
225.00 ৳ (20% OFF)

বোধ চকিতে পাওয়া উপলব্ধি

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/37132/image_1920?unique=45e4992

160.00 ৳ 160.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

এমন তো প্রায়ই হয় যে, একটা কোনো প্রসঙ্গ বা ঘটনা মাথায় ঘুরছে, সেই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ একটা উপলব্ধি আমাদের মনে-মস্তিষ্কে উঁকি দেয়। ভেতর থেকে কেউ একজন বলে ওঠে—ঠিক! এটাই সত্য!! একটা ‘প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি’ অনুভূত হয় সে মুহূর্তে। কমবেশি সবারই হয় বোধকরি এমনটা। এই সব বোধ আসে, আবার হারিয়েও যায়। কিছু মনে থাকে, অধিকাংশই ভুলে যাই। কদিন পর মনে হয়, কী যেন ছিল কথাটা! বাইশ বছর আগে (২০০৩) একদিন আচমকা মনে হলো, লিখে রাখি না কেন এই সব অনুভাবনা? অতঃপর শুরু। গেলো ২৩ বছর ধরে দিন-তারিখ উল্লেখ করে লিখে রাখছিলাম কথাগুলো—কখনো গুরুগম্ভীর ভাষায়, কখনো-বা বিদ্রুপাত্মক শব্দে-বাক্যে। বছর দশেক ধরে গুটিকয় শুভার্থীকে এর কিছু শেয়ার করি হোয়াটসঅ্যাপে—আমার স্বজন-সুহৃদ থেকে শুরু করে সত্তরোর্ধ্ব বর্ষীয়ান শিক্ষকও আছেন সেই তালিকায়। উৎসাহ যোগাতে কি স্নেহবশে জানি না, তারা একরকম প্রশ্রয়ই দেন। মাঝেমধ্যে ডায়েরি খুলে পড়ি। ভালো লাগে। প্রকাশের ইচ্ছে ছিল না তা নয়, তবে সেটা নিশ্চিতই আরো অনেক পরে। হঠাৎ, জানি না কেন, এই সপ্তাহ দুয়েক আগের এক নিরিবিলি দিনে অজস্র সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে মনে হলো, এ-বছরই প্রকাশ হোক বইটা। তাতে নিজেরও কিছু সুবিধা হয় পড়তে। তারপর বেশ দ্রুততায়, নির্বাচিত পাঁচ শতাধিক ‘বোধ’ নিয়ে গোছানো হলো খসড়া পাণ্ডুলিপি। দরকারি সংযোজন-বিয়োজন আর বিস্তর কাটাছেঁড়া শেষে প্রকাশ-উপযোগী হয়ে উঠল—বোধ চকিতে পাওয়া উপলব্ধি। তবে কথা হলো—যা প্রকাশ করতে পেরেছি, তার চেয়ে বেশি পারি নি! সব কি বলা যায়? নাকি বলা সঙ্গত? যা বলতে পারি নি, সে-সব আমারই থাক্। আরেকটা কথা। বইয়ের ভূমিকায় নানান রকমে-সকমে একে-ওকে ধন্যবাদ দেয়াটাই দস্তুর। যারা দেন তারা উচিৎ কাজটাই করেন নিশ্চয়ই, কিন্তু ব্যাপারটা কেন যেন আমার কাছে আনুষ্ঠানিকতাসর্বস্ব মনে হয় বলে এ-পর্যন্ত কখনোই তা করা হয়ে ওঠে নি। কিন্তু এবার একজনকে ধন্যবাদ না দিলে অন্যায় হবে নিশ্চিত—তিনি স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন-এর উদ্যোক্তা ও কর্ণধার জনাব আবু সাঈদ। নিজের বহুবিধ ব্যস্ততা সত্ত্বেও, পাণ্ডুলিপি হাতে পাওয়ার অল্প কদিনের মধ্যেই দারুণ ক্ষিপ্রতা ও দক্ষতায় তিনি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন। ফলে বইটা দ্রুত ছাপাখানার উদ্দেশে রওনা করতে পারল। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বইটা প্রকাশিত হলে আরাম করে পড়ব। আমার একান্ত ভাবনাগুলো পড়া যাবে স্পষ্ট ছাপার অক্ষরে। আপাতত এটুকুই শুধু চাওয়া।

Ataur Rahman

অধ্যাপক আতাউর রহমান সাবেক অধ্যাপক, আমলা ও কূটনীতিবিদ আতাউর রহমানের জন্ম ১৯৪২ সালে সিলেট জেলার গােলাপগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে ইংরেজিতে অনার্স ও ১৯৬৫ সালে এম. এ. পাস। অতঃপর সিলেট এম.সি. (সরকারি) কলেজে অধ্যাপনা শেষে তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে যােগদান। ২০০২ সালে ডাক বিভাগের ডি-জির পদ থেকে চূড়ান্ত অবসর গ্রহণ। মধ্যিখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক পদে এবং লন্ডন ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতক দায়িত্বপালন। আতাউর রহমান এদেশের একজন প্রখ্যাত রম্যলেখক। ২টি উপন্যাস, ১টি আত্মজীবনী ও ১৩টি রম্যগ্রন্থসহ অদ্যাবধি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মােট সংখ্যা ১৬। লেখালেখির জন্য বেশ ক'টি পুরস্কারে ভূষিত। ভাষাগত ব্যুৎপত্তি : মাতৃভাষা ব্যতিরেকেও ইংরেজি, ফরাসি, আরবি ও উর্দু। হাস্যরস পরিবেশনা ও ধর্মীয় আলােচনা প্রধানতম শখ।

Title

বোধ চকিতে পাওয়া উপলব্ধি

Author

Ataur Rahman

Publisher

Swapno 71

Number of Pages

104

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Memoir
  • First Published

    FEB 2025

    এমন তো প্রায়ই হয় যে, একটা কোনো প্রসঙ্গ বা ঘটনা মাথায় ঘুরছে, সেই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ একটা উপলব্ধি আমাদের মনে-মস্তিষ্কে উঁকি দেয়। ভেতর থেকে কেউ একজন বলে ওঠে—ঠিক! এটাই সত্য!! একটা ‘প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি’ অনুভূত হয় সে মুহূর্তে। কমবেশি সবারই হয় বোধকরি এমনটা। এই সব বোধ আসে, আবার হারিয়েও যায়। কিছু মনে থাকে, অধিকাংশই ভুলে যাই। কদিন পর মনে হয়, কী যেন ছিল কথাটা! বাইশ বছর আগে (২০০৩) একদিন আচমকা মনে হলো, লিখে রাখি না কেন এই সব অনুভাবনা? অতঃপর শুরু। গেলো ২৩ বছর ধরে দিন-তারিখ উল্লেখ করে লিখে রাখছিলাম কথাগুলো—কখনো গুরুগম্ভীর ভাষায়, কখনো-বা বিদ্রুপাত্মক শব্দে-বাক্যে। বছর দশেক ধরে গুটিকয় শুভার্থীকে এর কিছু শেয়ার করি হোয়াটসঅ্যাপে—আমার স্বজন-সুহৃদ থেকে শুরু করে সত্তরোর্ধ্ব বর্ষীয়ান শিক্ষকও আছেন সেই তালিকায়। উৎসাহ যোগাতে কি স্নেহবশে জানি না, তারা একরকম প্রশ্রয়ই দেন। মাঝেমধ্যে ডায়েরি খুলে পড়ি। ভালো লাগে। প্রকাশের ইচ্ছে ছিল না তা নয়, তবে সেটা নিশ্চিতই আরো অনেক পরে। হঠাৎ, জানি না কেন, এই সপ্তাহ দুয়েক আগের এক নিরিবিলি দিনে অজস্র সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে মনে হলো, এ-বছরই প্রকাশ হোক বইটা। তাতে নিজেরও কিছু সুবিধা হয় পড়তে। তারপর বেশ দ্রুততায়, নির্বাচিত পাঁচ শতাধিক ‘বোধ’ নিয়ে গোছানো হলো খসড়া পাণ্ডুলিপি। দরকারি সংযোজন-বিয়োজন আর বিস্তর কাটাছেঁড়া শেষে প্রকাশ-উপযোগী হয়ে উঠল—বোধ চকিতে পাওয়া উপলব্ধি। তবে কথা হলো—যা প্রকাশ করতে পেরেছি, তার চেয়ে বেশি পারি নি! সব কি বলা যায়? নাকি বলা সঙ্গত? যা বলতে পারি নি, সে-সব আমারই থাক্। আরেকটা কথা। বইয়ের ভূমিকায় নানান রকমে-সকমে একে-ওকে ধন্যবাদ দেয়াটাই দস্তুর। যারা দেন তারা উচিৎ কাজটাই করেন নিশ্চয়ই, কিন্তু ব্যাপারটা কেন যেন আমার কাছে আনুষ্ঠানিকতাসর্বস্ব মনে হয় বলে এ-পর্যন্ত কখনোই তা করা হয়ে ওঠে নি। কিন্তু এবার একজনকে ধন্যবাদ না দিলে অন্যায় হবে নিশ্চিত—তিনি স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন-এর উদ্যোক্তা ও কর্ণধার জনাব আবু সাঈদ। নিজের বহুবিধ ব্যস্ততা সত্ত্বেও, পাণ্ডুলিপি হাতে পাওয়ার অল্প কদিনের মধ্যেই দারুণ ক্ষিপ্রতা ও দক্ষতায় তিনি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন। ফলে বইটা দ্রুত ছাপাখানার উদ্দেশে রওনা করতে পারল। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বইটা প্রকাশিত হলে আরাম করে পড়ব। আমার একান্ত ভাবনাগুলো পড়া যাবে স্পষ্ট ছাপার অক্ষরে। আপাতত এটুকুই শুধু চাওয়া।
    No Specifications