Skip to Content
জামায়াত স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না

Price:

700.00 ৳


Nani A. Palkhivala : A Life
Nani A. Palkhivala : A Life
1,200.00 ৳
1,200.00 ৳
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
700.00 ৳
700.00 ৳

জামায়াত স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13142/image_1920?unique=20d6fc2

700.00 ৳ 700.0 BDT 700.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকায় তাদেরকে অনেকে ঘৃণা করেন, ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু কেন? মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার পেছনে জামায়াতের কি কোনো যুক্তি নেই? জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ভাসাভাসা দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধকে দেখেছে। অন্যদিকে, জামায়াত দেখেছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে। সাতচল্লিশে এ জাতি হিন্দু ভারতের সঙ্গে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এ দেশের জনগণ সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে মেনে নিলেও প্রতিবেশি ভারত মেনে নেয়নি। ভারত সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে বাঞ্ছাল করে দেয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করেছে। একাত্তরে তারা ইন্সিত সুযোগ পেয়ে যায়। পাকিস্তান বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান ছিল ভারতের পূবাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। ভারত তার সাত রাজ্যের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের স্বার্থ ছিল ষোল আনা। ভারতের অভিসন্ধি বুঝতে পেরে জামায়াত একাত্তর থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হলে ভারতে আশ্রয় নিতে হতো। জামায়াতের পক্ষে ভারতে আশ্রয় নেয়া সম্ভব ছিল না। একটি মুসলিম দেশ ভেঙ্গে দিতে হিন্দু দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে তাদের বিবেক সায় দেয়নি। ভারতে আশ্রয় নিলেও তাদের পরিণতি হতো মাওলানা ভাসানী এবং মশিয়ুর রহমান জাদু মিয়ার মতো। এ দুজন জাতীয় নেতাসহ অসংখ্য বামপন্থী কর্মীর্কে ভারতে হয়তো আটক করা হয় নয়তো দেশে ফেরত পাঠানো হয়। জামায়াত সমর্থকদের ভাগ্য তাদের থেকে ভিন্নতর কিছু হতো না।

Shahadat Hossain Khan

সাহাদত হোসেন খান প্রখ্যাত লেখক এবং সাংবাদিক সাহাদত হোসেন খান বাংলাদেশের মিডিয়াপাড়ার একজন পরিচিত মুখ। তিনি দীর্ঘকাল ধরে সাংবাদিকতা করে চলেছেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক দিনকাল দিয়ে সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন তিনি। এরপর দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পদে তিনি চারবার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং বাংলা একাডেমির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গুণী এ লেখকের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১লা মে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি। স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা এবং নরসিংদী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। সাহাদত হোসেন খান এর বইয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধিক স্থান পায়। দীর্ঘকালের সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রতি তাকে আকৃষ্ট করে তোলে যা তার লেখালেখিকেও প্রভাবিত করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রাজেডি, পলাশী থেকে একাত্তর, ক্রুসেড, স্বাধীনতা উত্তর ট্র্যাজেডি মুজিব থেকে জিয়া, অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান, স্নায়ুযুদ্ধ, এডলফ হিটলার, মু্ক্তিযুদ্ধের ১৬ জন সেক্টর কমান্ডার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রাজেডি, ক্রুসেড, কাশ্মীর টু জেরুজালেম, কারবালা, প্রাচীন মিশর, ২৬৭ দিনের মুক্তিযুদ্ধ, পঞ্চাশ মুসলিম বীর, রোমান সাম্রাজ্য, রোমান থেকে বাইজান্টাইন, স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার, মোগল সাম্রাজ্যের সোনালী অধ্যায়, আক্রান্ত মুসলিম বিশ্ব, ইসলামের দিগ্বিজয়, মোগল সাম্রাজ্যের পতন, বিশ্বের আলোড়িত বিশটি ঘটনা, অটোমান সাম্রাজ্যের পতন, ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ, সুলতান সোলেমান, আজকের বিশ্ব রাজনীতি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব, পার্বত্য উপজাতিদের আদিনিবাস, কেন এলো জরুরি অবস্থা, খোলাফায়ে রাশেদীন, ক্লিওপেট্রা, সংঘাতের আবর্তে উপমহাদেশ, সমকালীন বিশ্ব রাজনীতি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ীদের যুদ্ধাপরাধ, ট্রয় থেকে ইরাক দুনিয়া কাঁপানো যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিরোধ, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন, দেশ বিদেশের রাজনৈতিক ঘটনা, ধর্ম সমাজ ও রাজনীতি, অটোমান সাম্রাজ্য, বিশ্ব রাজনৈতিক সংকট, নিষিদ্ধ প্রেম, পরিচয়, পাশ্চাত্যে ইসলাম ভীতি, নিষ্পাপ প্রেমের মৃত্যু, টুক্কা মুন্সীর একান্ত ঘর, বিশ শতকের সেরা বিশ, নিষ্কলঙ্ক বধূ, দেশে দেশে গণহত্যা, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের পরিণাম, বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, অখণ্ড ভারত কায়েমের স্বপ্ন-সহ অনেক বই তিনি লিখেছেন এবং টোয়াইলাইট, দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান বই ২টি অনুবাদ করেছেন।

Title

জামায়াত স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না

Author

Shahadat Hossain Khan

Publisher

Afsar Brothers

Number of Pages

456

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Politics
  • First Published

    FEB 2025

    একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকায় তাদেরকে অনেকে ঘৃণা করেন, ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু কেন? মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার পেছনে জামায়াতের কি কোনো যুক্তি নেই? জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ভাসাভাসা দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধকে দেখেছে। অন্যদিকে, জামায়াত দেখেছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে। সাতচল্লিশে এ জাতি হিন্দু ভারতের সঙ্গে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এ দেশের জনগণ সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে মেনে নিলেও প্রতিবেশি ভারত মেনে নেয়নি। ভারত সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে বাঞ্ছাল করে দেয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করেছে। একাত্তরে তারা ইন্সিত সুযোগ পেয়ে যায়। পাকিস্তান বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান ছিল ভারতের পূবাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। ভারত তার সাত রাজ্যের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের স্বার্থ ছিল ষোল আনা। ভারতের অভিসন্ধি বুঝতে পেরে জামায়াত একাত্তর থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হলে ভারতে আশ্রয় নিতে হতো। জামায়াতের পক্ষে ভারতে আশ্রয় নেয়া সম্ভব ছিল না। একটি মুসলিম দেশ ভেঙ্গে দিতে হিন্দু দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে তাদের বিবেক সায় দেয়নি। ভারতে আশ্রয় নিলেও তাদের পরিণতি হতো মাওলানা ভাসানী এবং মশিয়ুর রহমান জাদু মিয়ার মতো। এ দুজন জাতীয় নেতাসহ অসংখ্য বামপন্থী কর্মীর্কে ভারতে হয়তো আটক করা হয় নয়তো দেশে ফেরত পাঠানো হয়। জামায়াত সমর্থকদের ভাগ্য তাদের থেকে ভিন্নতর কিছু হতো না।
    No Specifications