Skip to Content
অজিফা (নালতা)

Price:

24.00 ৳


Vegetables : Colouring Book
Vegetables : Colouring Book
104.00 ৳
130.00 ৳ (20% OFF)
অরুণোদয় : অক্টোবর ২০২০
অরুণোদয় : অক্টোবর ২০২০
80.00 ৳
100.00 ৳ (20% OFF)

অজিফা (নালতা)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/41192/image_1920?unique=3e96910

24.00 ৳ 24.0 BDT 30.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

‘তাওহীদ ইছলামের চরম ও পরম শিক্ষা।'(আমার শিক্ষা ও দীক্ষা)। মহব্বতের পথ বেয়ে আপামর জনসাধারণকে তাওহীদের স্বর্গীয় অনুভূতি লাভ করানাের অভিপ্রায়ই ছিল সুলতানুল আওলিয়া, কুতুবুল আকতাব, গওছে জামান, আরেফ বিল্লাহ, হজরত শাহছুফী, আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র:)-এর জীবনের অন্যতম ব্রত। এই তাওহীদের অনুভূতি ও অনাবিল শান্তি অর্জনের জন্য যে জীবন ধারা- সে ধারা অর্জনের নির্দেশনা পাওয়া যায় তার জীবন অনুসন্ধানে ও তাঁর গ্রন্থাবলীর মধ্যে। এ অনুভূতি অর্জনের সাধনার পথ নির্দেশনা তাঁর লেখনীতে এভাবে বিধৃত হয়েছে, “আমাদের মিশনের মূলমন্ত্র মহব্বত, সাচ্চা মহব্বত সকল এবাদতকে জয় করে। আমাদের ছেলছেলা অন্য ছেলছেলার মত নয়। সালেক একটু চেষ্টা করলেই খােদার অফুরন্ত ভাণ্ডারের নিদর্শন দেখতে পায় ও পরম আগ্রহের সহিত এবাদতে ব্ৰতী হয়। ...তাই বলে অপর ছেলছেলার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবে না। সকলকে শান্তি ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করবে।”(ভক্তের পত্র, পত্র সংখ্যা-২২৩)

Khan Bahadur Ahsanullah

খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ সাতক্ষীরা জেলার (তদানীন্তন খুলনা জেলা) নলতা শরীফে ১৮৭৩ সালে ডিসেম্বর মাসের কোন এক শনিবার প্রত্যুষে হজরত খানবাহাদুর আহ‌্ছানউল্লা(রঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের বহু পূর্ব হতে এ মহান সাধকের আগমন বার্তা পৌঁছেছিল। তাঁর পিতা মুনশী মোঃ মফিজ উদ্দীন একজন ধার্মিক, ঐশ্বর্যবান ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর পিতামহ মোঃ দানেশও একজন ধর্মপ্রাণ ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ মুফিজ উদ্দীন এবং মায়ের নাম মোছাঃ আমিনা বেগম। হজরত খানবাহাদুর আহ‌্ছানউল্লা (রঃ) ছিলেন পিতামহের একমাত্র পুত্রের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ফলে তাঁর শিক্ষার জন্য পিতা ও পিতামহের আপ্রাণ চেষ্টা ও আগ্রহ ছিল। তাঁর বয়স পাঁচ বৎসর পূর্ণ না হতেই প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৮৮১ সালে তিনি 'গ-মিতিয়' (বর্তমান দ্বিতীয় শ্রেণীর সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একটি রূপার মুদ্রা পুরষ্কার পান। তিনি নলতার মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয় হতে ৩য়,৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ ভাগ অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি টাকী গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে চতুর্থ (বর্তমান সপ্তম) শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৮৮৮ সালের শেষভাগে কলকাতায় লন্ডন মিশন সোসাইটি ইন্সটিটিউশনে সেকেন্ড ক্লাসে (বর্তমানে নবম শ্রেণী) ভর্তি হন এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৯০ সালে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স (বর্তমানে এস,এস,সি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ও বৃত্তি লাভ করেন। তিনি হুগলী কলেজ থেকে ১৮৯২ সালে এফ.এ (বর্তমানে এইচ.এস.সি) এবং ১৮৯৪ সালে কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে সাফল্যের সাথে বি.এ. পাশ করেন। ১৮৯৫ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দর্শন শাস্ত্রে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। হজরত খানবাহাদুর আহ‌্ছানউল্লা (রঃ) মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রপিতামহীর ইচ্ছানুসারে ফয়জুননেছা মহারানি নামের মহিষীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধহন। কিন্তু সংসার জীবন শুরু করেন সরকারী চাকুরিতে প্রবেশের পর, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা যিনি শৈশবে মারা যান ও আট পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। হজরত খানবাহাদুর আহ‌্ছানউল্লা(রঃ) তাঁর কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার স্বীকৃতি অল্প সময়ের মধ্যেই অর্জন করেন। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক তাঁকে 'খানবাহাদুর' উপাধি প্রদান করা হয়। তিনি চাকরিতে প্রবেশের মাত্র ১৫ বৎসরের মধ্যে এই সাফল্য অর্জন করেন। ১৯১১ সালে তিনি Royal society for the encouragement of arts, manufactures & commerce এর সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি ১৯১৯ সালে ইন্ডিয়ান এডুকেশন সার্ভিস (I.E.S) ভুক্ত হন। মুছলমানদের মধ্যে তিনিই প্রথম (I.E.S) ভুক্ত হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরপ্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোটের (বর্তমান সিনেট) মেম্বার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি লগ্নে ডঃ নাথান সাহেবের অধীনে Teaching কমিটির মেম্বার ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট ও বহুমুখী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলা একাডেমী তাঁকে ১৯৬০ সালে সম্মানসূচক 'ফেলোশিপ' প্রদান করেন। সমাজ সেবা ও সমাজ সংস্কৃতিতে বিশেষ করে দীন প্রচারের কাজে অবদানের জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তাঁকে ১৪০৪ হি: তে মরণোত্তর পুরষ্কারে ভূষিত করে।

Title

অজিফা (নালতা)

Author

Khan Bahadur Ahsanullah

Publisher

Nalta Kendrio Ahsaniya Mission

Number of Pages

44

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Religion
  • First Published

    MAY 2015

    ‘তাওহীদ ইছলামের চরম ও পরম শিক্ষা।'(আমার শিক্ষা ও দীক্ষা)। মহব্বতের পথ বেয়ে আপামর জনসাধারণকে তাওহীদের স্বর্গীয় অনুভূতি লাভ করানাের অভিপ্রায়ই ছিল সুলতানুল আওলিয়া, কুতুবুল আকতাব, গওছে জামান, আরেফ বিল্লাহ, হজরত শাহছুফী, আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র:)-এর জীবনের অন্যতম ব্রত। এই তাওহীদের অনুভূতি ও অনাবিল শান্তি অর্জনের জন্য যে জীবন ধারা- সে ধারা অর্জনের নির্দেশনা পাওয়া যায় তার জীবন অনুসন্ধানে ও তাঁর গ্রন্থাবলীর মধ্যে। এ অনুভূতি অর্জনের সাধনার পথ নির্দেশনা তাঁর লেখনীতে এভাবে বিধৃত হয়েছে, “আমাদের মিশনের মূলমন্ত্র মহব্বত, সাচ্চা মহব্বত সকল এবাদতকে জয় করে। আমাদের ছেলছেলা অন্য ছেলছেলার মত নয়। সালেক একটু চেষ্টা করলেই খােদার অফুরন্ত ভাণ্ডারের নিদর্শন দেখতে পায় ও পরম আগ্রহের সহিত এবাদতে ব্ৰতী হয়। ...তাই বলে অপর ছেলছেলার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবে না। সকলকে শান্তি ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করবে।”(ভক্তের পত্র, পত্র সংখ্যা-২২৩)
    No Specifications