Skip to Content
ইস্পাত (নিকোলাই অস্ত্রোভস্কি)

Price:

360.00 ৳


ইস্তাম্বুল : স্মৃতি ও শহর
ইস্তাম্বুল : স্মৃতি ও শহর
432.00 ৳
540.00 ৳ (20% OFF)
ইহুদী জাতির ইতিহাস
ইহুদী জাতির ইতিহাস
480.00 ৳
600.00 ৳ (20% OFF)

ইস্পাত (নিকোলাই অস্ত্রোভস্কি)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/12042/image_1920?unique=d949ece

360.00 ৳ 360.0 BDT 450.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

১৯১৭ সালের নভেম্বরে পৃথিবীতে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। তার প্রচলিত নাম রুশবিপ্লব। আসলে তা ছিল পৃথিবীর প্রথম সফল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিক অ্যাঙ্গেলস মেহনতি ও নির্যাতিত শ্রেণীর মুক্তির যে যুগান্তকারী পথনির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই তত্ত্বের সফল বাস্তবায়ন ঘটেছিল লেনিনের নেতৃত্বে। সােভিয়েত ইউনিয়নে। অবশ্যই সেই বিপ্লবের পক্ষ-বিপক্ষ ছিল; অবশ্যই একদল এই ঘটনাকে মানবজাতির গৌরবােজ্জ্বল ঘটনাফলক বলে উল্লেখ করলেও অপরদল ঘটনাটিকে নিছক নৃশংসতা ভিন্ন আর কিছু বলে স্বীকার করতে নারাজ অবশ্যই এই বিপ্লবের ফলে পৃথিবীর দেশে দেশে মেহনতি ও নির্যাতিত মানুষেরা যেমন মুক্তির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল, তেমনই তার বিরােধীরা সাম্যবাদকে অলীক বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। তার পরেও, এটাই বাস্তবতা যে, ১৯১৭ সালের রুশবিপ্লবের পরে পৃথিবী আর আগের মতাে থাকেনি। অর্থাৎ রুশবিপ্লবের প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ প্রভাব পড়েছে এর পক্ষে-বিপক্ষের সবার ওপরে তাে বটেই, এমনকি তাদের ওপরেও-যারা নিজেদের দাবি করে নিরপেক্ষ বলে। এইরকম যুগান্তকারী বিষয় নিয়ে লেখক-শিল্পীরা আলােড়িত হবেন—এটাই স্বাভাবিক। আর রুশসাহিত্য তাে বরাবরই মহৎ সৃষ্টিতে অগ্রগামী। আলেকজান্ডার পুশকিন, লেভ তলস্তয়, আন্তন চেখভ, দস্তয়ভস্কি প্রমুখ চিরায়তের মর্যাদা লাভ করেছেন আগেই। রুশবিপ্লব পথ খুলে দিল আরাে অনেকের জন্য। কালজয়ী সাহিত্যসৃষ্টিতে এগিয়ে এলেন ম্যাক্সিম গাের্কি ও মায়াকোভস্কির মতাে লেখকরা। তাদেরই সারিতে ইস্পাত উপন্যাস নিয়ে স্থান করে নিয়েছেন নিকোলাই অস্ত্রভস্কি। ১৯৮৬ সালেই এই উপন্যাসটি অনূদিত হয়ে গেছে ৪৮টি ভাষায়। প্রকাশিত হয়েছে ৪২টি দেশে। ১৯৩৪ সালে প্রথম প্রকাশিত ইস্পাত পরবর্তী ৫২ বছরে বিক্রি হয়েছে দেড়কোটি কপিরও বেশি। বর্তমান সময় পর্যন্ত হিশাব করলে এই সংখ্যাটি হবে অবিশ্বাস্য। মঙ্গলগ্রহে যাবার সময় সঙ্গে নিতে চাও কী কী? এই বিষয়ে সােভিয়েত তরুণদের মতামত জরিপ করা হয়েছিল। ফলাফল ছিল বিস্ময়কর। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক তরুণ-তরুণী সঙ্গে নিতে চেয়েছিল এককপি ইস্পাত উপন্যাস। এসব তথ্য জানলে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কী এমন আছে এই উপন্যাসে যা এই গ্রন্থবিমুখ সময়েও কোটি কোটি পাঠককে বাধ্য করে ইস্পাতের প্রতি আকৃষ্ট হতে? কলাকৈবল্যবাদীরা দাবি করেন, ইস্পাত’ নিছকই একটি প্রপাগান্ডামূলক উপন্যাস, সে-দাবির যথার্থতা কতটুকু? নাকি এটি সত্যি সত্যিই একটি মহৎ উপন্যাস—যা লাভ করেছে ক্লাসিকত্ব বা চিরায়তের মর্যাদা? কোন কোন গুণের কারণে একটি সাহিত্যকর্ম ক্লাসিক বা চিরায়ত হয়ে ওঠে তা অদ্যাবধি নির্ধারণ করতে পারেননি কোনাে সাহিত্যতাত্ত্বিক। ঐতিহাসিকভাবে সীমায়িত হওয়া সত্ত্বেও কেন কোনাে-কোনাে রচনাকর্ম চিরায়ত হয়ে ওঠে তার মীমাংসা টিএস এলিয়টও করতে পারেননি। দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি’ কেন চিরায়ত রচনা, এই নিয়ে কোনাে থই পাননি ট্রটস্কিও। একবার বলেছেন ঐতিহাসিক কারণে; পরক্ষণেই দান্তের প্রতিভা অর্থাৎ নান্দনিক দক্ষতার কথা বলেছেন; শেষে বলেছেন যে মৃত্যু যেহেতু সার্বজনীন বিষয় তাই এই কাব্যও চিরায়ত। সব সাহিত্যই কোনাে-না-কোনাে পরিমাণে যুগের ইতিহাসকে ধারণ করে। সেই যুগের ইতিহাসকে কীভাবে ও কী পরিমাণে ধারণ করলে সাহিত্য মূল্যবান হবেতার কোথাও একটা সীমা আছে। একমাত্র প্রতিভাধর শিল্পীই এই সীমাকে উপলব্ধি করতে পারেন। এ থেকে বােঝা যায়, ধ্রুপদী না-হওয়া সত্ত্বেও কোনাে সাহিত্যকর্ম যথেষ্ট মূল্যবান বলে বিবেচিত হতে পারে। প্রপাগান্ডামূলক বলে শুদ্ধতাবাদীরা উপহাস করলেও যেমন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’র শিল্পমূল্য বিন্দুমাত্র কমে যায় না, ম্যাক্সিম গাের্কির চিরন্তন ‘মা’-এর আকুতি যেমন বিফলে যায় না; তেমনই নিকোলাই অস্ত্রভস্কির ইস্পাত’ অপাঙক্তেয় হয়ে যায় না। পাঠকহৃদয়ে যদি সংবেদনশীলতা থাকে, যদি মহৎ আদর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র পক্ষপাত থাকে, সেই পাঠকদেরকে বিস্ময়করভাবে উদ্দীপিত করতে সক্ষম এই উপন্যাস। শিল্পের একটি মহৎ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সঞ্চরণশীলতা। লেখকের অনুভূতির প্রকাশ যদি পাঠকের নিজস্ব অনুভূতিতে রূপান্তরিত হতে না পারে, তবে সেই সাহিত্যকর্মের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। সেইদিক থেকে ইস্পাত’ একটি সফল সাহিত্যকর্ম। আমরা জেনেছি নিকোলাই অস্ত্রভস্কি যখন উপন্যাসটি রচনা করেন, তখন তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ অন্ধ। সেইসঙ্গে ছিল শারীরিক পঙ্গুত্ব। এইসব দুর্ভেদ্য প্রতিকূলতা জয় করে ইস্পাত উপন্যাস রচনা করাটা এককথায় সাধারণ মানুষের কাছে অসম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন লেখক। কোথায় পেয়েছিলেন তিনি এই ইস্পাতদৃঢ় মনােবল? তা পেয়েছিলেন জীবনের কাছ থেকে। পেয়েছিলেন নিজের সংগ্রামী চেতনার কাছ থেকে। যতদিন সুস্থ ছিলেন, কাজ করেছেন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে সুসংহত করার লক্ষ্যে। যখন অন্ধত্ব এল, পঙ্গুত্ব এল, তখনকার বেঁচে থাকাকে অর্থবহ করার জন্যই লিখতে শুরু করেছিলেন এই উপন্যাসটি। পরবর্তীতে জানা গেছে, ইস্পাত’ মূলত আত্মজৈবনিক উপন্যাস। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র পাভেল করচাগিন নির্মিত হয়েছে যার ছায়া অবলম্বন করে তিনি আর কেউ নন-স্বয়ং লেখক নিকোলাই অস্ত্রভস্কি। কিন্তু বেশিরভাগ আত্মজীবনীতে যা করা হয়, নিজেকে ও নিজের পছন্দের দল ও মানুষদেরকে খুব উজ্জ্বল করে আঁকা হয়, নিজেকে সমালােচনার অতীত বলে প্রতিভাত করার চেষ্টা করা হয়, এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। হয়নি বলেই ইস্পাত’ ইচ্ছাপূরণের কাহিনী না হয়ে হয়েছে একটি নিখুঁত উপন্যাস।

Title

ইস্পাত (নিকোলাই অস্ত্রোভস্কি)

Author

রবীন্দ্র মজুমদার

Publisher

Bishwo Shahitto Kendro

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • ১৯১৭ সালের নভেম্বরে পৃথিবীতে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। তার প্রচলিত নাম রুশবিপ্লব। আসলে তা ছিল পৃথিবীর প্রথম সফল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিক অ্যাঙ্গেলস মেহনতি ও নির্যাতিত শ্রেণীর মুক্তির যে যুগান্তকারী পথনির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই তত্ত্বের সফল বাস্তবায়ন ঘটেছিল লেনিনের নেতৃত্বে। সােভিয়েত ইউনিয়নে। অবশ্যই সেই বিপ্লবের পক্ষ-বিপক্ষ ছিল; অবশ্যই একদল এই ঘটনাকে মানবজাতির গৌরবােজ্জ্বল ঘটনাফলক বলে উল্লেখ করলেও অপরদল ঘটনাটিকে নিছক নৃশংসতা ভিন্ন আর কিছু বলে স্বীকার করতে নারাজ অবশ্যই এই বিপ্লবের ফলে পৃথিবীর দেশে দেশে মেহনতি ও নির্যাতিত মানুষেরা যেমন মুক্তির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল, তেমনই তার বিরােধীরা সাম্যবাদকে অলীক বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। তার পরেও, এটাই বাস্তবতা যে, ১৯১৭ সালের রুশবিপ্লবের পরে পৃথিবী আর আগের মতাে থাকেনি। অর্থাৎ রুশবিপ্লবের প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ প্রভাব পড়েছে এর পক্ষে-বিপক্ষের সবার ওপরে তাে বটেই, এমনকি তাদের ওপরেও-যারা নিজেদের দাবি করে নিরপেক্ষ বলে। এইরকম যুগান্তকারী বিষয় নিয়ে লেখক-শিল্পীরা আলােড়িত হবেন—এটাই স্বাভাবিক। আর রুশসাহিত্য তাে বরাবরই মহৎ সৃষ্টিতে অগ্রগামী। আলেকজান্ডার পুশকিন, লেভ তলস্তয়, আন্তন চেখভ, দস্তয়ভস্কি প্রমুখ চিরায়তের মর্যাদা লাভ করেছেন আগেই। রুশবিপ্লব পথ খুলে দিল আরাে অনেকের জন্য। কালজয়ী সাহিত্যসৃষ্টিতে এগিয়ে এলেন ম্যাক্সিম গাের্কি ও মায়াকোভস্কির মতাে লেখকরা। তাদেরই সারিতে ইস্পাত উপন্যাস নিয়ে স্থান করে নিয়েছেন নিকোলাই অস্ত্রভস্কি। ১৯৮৬ সালেই এই উপন্যাসটি অনূদিত হয়ে গেছে ৪৮টি ভাষায়। প্রকাশিত হয়েছে ৪২টি দেশে। ১৯৩৪ সালে প্রথম প্রকাশিত ইস্পাত পরবর্তী ৫২ বছরে বিক্রি হয়েছে দেড়কোটি কপিরও বেশি। বর্তমান সময় পর্যন্ত হিশাব করলে এই সংখ্যাটি হবে অবিশ্বাস্য। মঙ্গলগ্রহে যাবার সময় সঙ্গে নিতে চাও কী কী? এই বিষয়ে সােভিয়েত তরুণদের মতামত জরিপ করা হয়েছিল। ফলাফল ছিল বিস্ময়কর। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক তরুণ-তরুণী সঙ্গে নিতে চেয়েছিল এককপি ইস্পাত উপন্যাস। এসব তথ্য জানলে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কী এমন আছে এই উপন্যাসে যা এই গ্রন্থবিমুখ সময়েও কোটি কোটি পাঠককে বাধ্য করে ইস্পাতের প্রতি আকৃষ্ট হতে? কলাকৈবল্যবাদীরা দাবি করেন, ইস্পাত’ নিছকই একটি প্রপাগান্ডামূলক উপন্যাস, সে-দাবির যথার্থতা কতটুকু? নাকি এটি সত্যি সত্যিই একটি মহৎ উপন্যাস—যা লাভ করেছে ক্লাসিকত্ব বা চিরায়তের মর্যাদা? কোন কোন গুণের কারণে একটি সাহিত্যকর্ম ক্লাসিক বা চিরায়ত হয়ে ওঠে তা অদ্যাবধি নির্ধারণ করতে পারেননি কোনাে সাহিত্যতাত্ত্বিক। ঐতিহাসিকভাবে সীমায়িত হওয়া সত্ত্বেও কেন কোনাে-কোনাে রচনাকর্ম চিরায়ত হয়ে ওঠে তার মীমাংসা টিএস এলিয়টও করতে পারেননি। দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি’ কেন চিরায়ত রচনা, এই নিয়ে কোনাে থই পাননি ট্রটস্কিও। একবার বলেছেন ঐতিহাসিক কারণে; পরক্ষণেই দান্তের প্রতিভা অর্থাৎ নান্দনিক দক্ষতার কথা বলেছেন; শেষে বলেছেন যে মৃত্যু যেহেতু সার্বজনীন বিষয় তাই এই কাব্যও চিরায়ত। সব সাহিত্যই কোনাে-না-কোনাে পরিমাণে যুগের ইতিহাসকে ধারণ করে। সেই যুগের ইতিহাসকে কীভাবে ও কী পরিমাণে ধারণ করলে সাহিত্য মূল্যবান হবেতার কোথাও একটা সীমা আছে। একমাত্র প্রতিভাধর শিল্পীই এই সীমাকে উপলব্ধি করতে পারেন। এ থেকে বােঝা যায়, ধ্রুপদী না-হওয়া সত্ত্বেও কোনাে সাহিত্যকর্ম যথেষ্ট মূল্যবান বলে বিবেচিত হতে পারে। প্রপাগান্ডামূলক বলে শুদ্ধতাবাদীরা উপহাস করলেও যেমন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’র শিল্পমূল্য বিন্দুমাত্র কমে যায় না, ম্যাক্সিম গাের্কির চিরন্তন ‘মা’-এর আকুতি যেমন বিফলে যায় না; তেমনই নিকোলাই অস্ত্রভস্কির ইস্পাত’ অপাঙক্তেয় হয়ে যায় না। পাঠকহৃদয়ে যদি সংবেদনশীলতা থাকে, যদি মহৎ আদর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র পক্ষপাত থাকে, সেই পাঠকদেরকে বিস্ময়করভাবে উদ্দীপিত করতে সক্ষম এই উপন্যাস। শিল্পের একটি মহৎ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সঞ্চরণশীলতা। লেখকের অনুভূতির প্রকাশ যদি পাঠকের নিজস্ব অনুভূতিতে রূপান্তরিত হতে না পারে, তবে সেই সাহিত্যকর্মের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। সেইদিক থেকে ইস্পাত’ একটি সফল সাহিত্যকর্ম। আমরা জেনেছি নিকোলাই অস্ত্রভস্কি যখন উপন্যাসটি রচনা করেন, তখন তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ অন্ধ। সেইসঙ্গে ছিল শারীরিক পঙ্গুত্ব। এইসব দুর্ভেদ্য প্রতিকূলতা জয় করে ইস্পাত উপন্যাস রচনা করাটা এককথায় সাধারণ মানুষের কাছে অসম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন লেখক। কোথায় পেয়েছিলেন তিনি এই ইস্পাতদৃঢ় মনােবল? তা পেয়েছিলেন জীবনের কাছ থেকে। পেয়েছিলেন নিজের সংগ্রামী চেতনার কাছ থেকে। যতদিন সুস্থ ছিলেন, কাজ করেছেন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে সুসংহত করার লক্ষ্যে। যখন অন্ধত্ব এল, পঙ্গুত্ব এল, তখনকার বেঁচে থাকাকে অর্থবহ করার জন্যই লিখতে শুরু করেছিলেন এই উপন্যাসটি। পরবর্তীতে জানা গেছে, ইস্পাত’ মূলত আত্মজৈবনিক উপন্যাস। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র পাভেল করচাগিন নির্মিত হয়েছে যার ছায়া অবলম্বন করে তিনি আর কেউ নন-স্বয়ং লেখক নিকোলাই অস্ত্রভস্কি। কিন্তু বেশিরভাগ আত্মজীবনীতে যা করা হয়, নিজেকে ও নিজের পছন্দের দল ও মানুষদেরকে খুব উজ্জ্বল করে আঁকা হয়, নিজেকে সমালােচনার অতীত বলে প্রতিভাত করার চেষ্টা করা হয়, এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। হয়নি বলেই ইস্পাত’ ইচ্ছাপূরণের কাহিনী না হয়ে হয়েছে একটি নিখুঁত উপন্যাস।
    No Specifications