Skip to Content
কুমিল্লার ইতিহাস (আদি পর্ব)

Price:

400.00 ৳


কুদরত রঙ্গিবিরঙ্গী
কুদরত রঙ্গিবিরঙ্গী
630.00 ৳
700.00 ৳ (10% OFF)
কুরআন বোঝার মূলনীতি
কুরআন বোঝার মূলনীতি
384.00 ৳
480.00 ৳ (20% OFF)

কুমিল্লার ইতিহাস (আদি পর্ব)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/12624/image_1920?unique=d949ece

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র যার প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি হাজার হাজার বছরের পুরানাে। এই রাষ্ট্রটি তাম্রপ্রস্তর যুগ থেকে ক্রমাগত পরিবর্তন, বহিরাগত সংস্কৃতির আগ্রাসন আর তার নিজস্ব ভৌগােলিক পরিমণ্ডলের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। তবে প্রাচীন যুগে এই অঞ্চলে বাংলা বলতে একক কোনও ভূখণ্ড ছিল না। এই অঞ্চলে ছিল জন বা গােত্র বসতি। এক সময় তাদের নামানুসারে গড়ে ওঠে প্রাচীন বঙ্গ, অঙ্গ, সুহ্ম, রাঢ়, পুণ্ড ইত্যাদি জনবসতি বা জনপদ। ফলে বাংলাদেশের কোনও একটি জেলার বা অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস রচনা নামান্তরে এই জনপদগুলাের কোনও একটির ইতিহাস রচনা। কিন্তু বাংলাদেশে প্রাচীন ইতিহাস চর্চা, অধিকন্তু আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা ও রচনা অনেকটাই অবহেলিত। কেননা বিগত কয়েক দশকে অধিকাংশ রচনাই হয়েছে ঔপনিবেশিকাল ও তৎপরবর্তী সময়ের বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে। তবে আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ফলে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়েও প্রাচীন ইতিহাসে রয়ে গেছে অনেক শূন্যতা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যারা ইতিহাস ও প্রত্নচর্চা করছেন তাদের অনেকেই আঞ্চলিক ইতিহাস রচনার প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। তারা জাতীয় পর্যায়ে প্রাচীন ইতিহাস রচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে ইতিহাস রচনা করছেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাঠামােতে ইতিহাস চর্চার এই দিকটি অর্থাৎ স্থানীয় ইতিহাসের প্রাচীন যুগটি অন্তর্ভুক্ত না হলেও অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও আগ্রহেই এই বিষয়টির চর্চা করছেন।উল্লেখ্য, বাংলার প্রাচীন কালের ইতিহাস রচনা কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। কেননা এই সময়ে একক কোনও বৃহৎ রাষ্ট্র যন্ত্রের বিকাশ এই অঞ্চলে হয়নি। উপরন্তু আর একটি জটিল সমস্যা ঐতিহাসিকদের সম্মুখীন হতে হয়। আর তা হ’ল উৎস সংক্রান্ত সমস্যা। কেননা ঐতিহাসিককে কথা বলতে হয় সাক্ষ্য প্রমাণ তথা উৎসের ভিত্তিতে। কিন্তু বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের ক্ষেত্রে উৎসের স্বল্পতা, কোনও কোনও ক্ষেত্রে উৎস না থাকার কারণে ঐতিহাসিকদের হোঁচট খেতে হয় বারবার।

Abul Kashem

আবুল কাসেম ১ জুলাই ১৯৫৫ কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার ঝাঁকুনি-পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন শেষে সরকারি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব। ছাত্র অবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। তখন থেকে দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় তাঁর প্রবন্ধ, গবেষণাপ্রবন্ধ, ছোটগল্প, সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রভৃতি প্রকাশিত হয়ে আসছে। কথাসাহিত্যে তার বিচরণ বেশি। সেখানে তিনি অতীত ইতিহাসের অমীয় উপাদানের সন্ধান করেছেন, সমৃদ্ধ করেছেন ইতিহাস আশ্রয়ী বাংলা সাহিত্যকে। ক্যাপ্টেন কক্স, অজেয় এবং সরহপা সে ধরনের উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কিছু বই রয়েছে তাঁর। মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লা, মুক্তিযুদ্ধে জয়পুরহাটে ছাড়াও রয়েছে মুক্তির মন্দির সোপানতলের মতো হৃদয়স্পর্শীর মুক্তিযুদ্ধের গল্পের বই। ইতিহাস বইগুলো আঞ্চলিক ও জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে আছে। তাঁর গবেষণাপ্রবন্ধে সমকালীন বিশ্বসাহিত্যের একটি বিশেষ ধারার গভীরতর চিন্তাধর্মী বিষয়গুলো যেমনÑ অস্তিত্ববাদ, পরাবাস্তববাদ, চেতনাপ্রবাহরীতি, অ্যাবসার্ডিটি প্রাধান্য পেয়েছে। চা শিল্পের ইতিহাস, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বাংলা ভাষায় তা শুধু ব্যতিক্রমই নয়, অনন্য সাধারণও। তাঁর চা শিল্পের ইতিহাস কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০। কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।

Title

কুমিল্লার ইতিহাস (আদি পর্ব)

Author

Abul Kashem

Publisher

Gatidhara

Number of Pages

286

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History-M
  • First Published

    FEB 2008

    ১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র যার প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি হাজার হাজার বছরের পুরানাে। এই রাষ্ট্রটি তাম্রপ্রস্তর যুগ থেকে ক্রমাগত পরিবর্তন, বহিরাগত সংস্কৃতির আগ্রাসন আর তার নিজস্ব ভৌগােলিক পরিমণ্ডলের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। তবে প্রাচীন যুগে এই অঞ্চলে বাংলা বলতে একক কোনও ভূখণ্ড ছিল না। এই অঞ্চলে ছিল জন বা গােত্র বসতি। এক সময় তাদের নামানুসারে গড়ে ওঠে প্রাচীন বঙ্গ, অঙ্গ, সুহ্ম, রাঢ়, পুণ্ড ইত্যাদি জনবসতি বা জনপদ। ফলে বাংলাদেশের কোনও একটি জেলার বা অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস রচনা নামান্তরে এই জনপদগুলাের কোনও একটির ইতিহাস রচনা। কিন্তু বাংলাদেশে প্রাচীন ইতিহাস চর্চা, অধিকন্তু আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা ও রচনা অনেকটাই অবহেলিত। কেননা বিগত কয়েক দশকে অধিকাংশ রচনাই হয়েছে ঔপনিবেশিকাল ও তৎপরবর্তী সময়ের বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে। তবে আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ফলে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়েও প্রাচীন ইতিহাসে রয়ে গেছে অনেক শূন্যতা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যারা ইতিহাস ও প্রত্নচর্চা করছেন তাদের অনেকেই আঞ্চলিক ইতিহাস রচনার প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। তারা জাতীয় পর্যায়ে প্রাচীন ইতিহাস রচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে ইতিহাস রচনা করছেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাঠামােতে ইতিহাস চর্চার এই দিকটি অর্থাৎ স্থানীয় ইতিহাসের প্রাচীন যুগটি অন্তর্ভুক্ত না হলেও অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও আগ্রহেই এই বিষয়টির চর্চা করছেন।উল্লেখ্য, বাংলার প্রাচীন কালের ইতিহাস রচনা কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। কেননা এই সময়ে একক কোনও বৃহৎ রাষ্ট্র যন্ত্রের বিকাশ এই অঞ্চলে হয়নি। উপরন্তু আর একটি জটিল সমস্যা ঐতিহাসিকদের সম্মুখীন হতে হয়। আর তা হ’ল উৎস সংক্রান্ত সমস্যা। কেননা ঐতিহাসিককে কথা বলতে হয় সাক্ষ্য প্রমাণ তথা উৎসের ভিত্তিতে। কিন্তু বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের ক্ষেত্রে উৎসের স্বল্পতা, কোনও কোনও ক্ষেত্রে উৎস না থাকার কারণে ঐতিহাসিকদের হোঁচট খেতে হয় বারবার।
    No Specifications