Skip to Content
দিনলিপি (সেলিন আল দীন)

Price:

450.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

দিনলিপি (সেলিন আল দীন)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13461/image_1920?unique=5c0980e

450.00 ৳ 450.0 BDT 450.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রবীন্দ্র-উত্তরকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নাট্যকার। সেলিম আল দীন নিজের দিনলিপি ও তাঁর শিল্পাদর্শ সম্পর্কে লিখেছেন- দিনলিপি নয়, কাব্য নয়, আর একে গদ্যই বা বলি কি করে? আত্মজৈবনিক আত্মজ কতকিছু নাম দিতে পারি এ গ্রন্থের। কাব্য হলে কথা সাজাতে হয়, দিনলিপিতে থাকে ক্ষণ তারিখের লাল কালাে হলুদ নীল, আত্মজৈবনিক হলে নির্বিশেষ ঘটনাপণ্ড পেত হন এতে। আত্মজ মানে আত্মার ভেতর থেকে জন্ম নিল যে রচনা কিন্তু শিল্পের প্রচলিত রূপতত্তে এরকম নাম তাে মেলে । আর গদ্যে লেখা গ্রন্থ মানেই গদ্যগ্রন্থ এ সংজ্ঞা আমি মানিনা গদ্যও তাে হতে পারে। ভাস্কর্য ধর্মী, সঙ্গীত ধর্মী, চলচ্চিত্রধর্মী...। শিল্পের নানান ঘরে নানান নপুর ঝঙ্কারএকজোড়া চোখ আর একজোড়া কানেই তাঁর বসবাস। সেখানে ধ্রুপদী ভারতীয় সাহিত্যে শিল্পতত্তে যেমন বলা হয় 'রসাদ তাঁর ঝঙ্কার এক। শিল্পে আমি নিশ্চিতই দ্বৈতাদ্বৈতবাদ শিল্পে দ্বৈতাদ্বৈত তত্ত্বটি না বুঝলে, নানা আঙ্গিকের মধ্য দিয়ে মানবের পূর্ণতর ও বিশালতার বােধটি খণ্ডিত হয়ে যায়। তবে সকল শিল্প রচনাই-আঙ্গিকের অর্গল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে না । বহু কবিতা শুধু সেফ কবিতাই বহু নাটক, দৃশ্য ও অঙ্কের বন্ধনে এত তৃপ্ত যে, যেন। নাটক হতে পারাটাই তাঁর সমস্ত দাড়ি কমা, বাক্যের পরম কাম্য ছিল। কবিতার বা নাটকের অন্তরে যে শক্তি তা কেবল তখনই বন্ধনকে ভাবতে সক্ষম যখন বাণীতে। বচনে বিশাল হয়ে উঠে। সে বিশালতাকে নিয়ম নির্দিষ্ট আঙ্গিকে বাধবার উপায় নেই। অন্যদিকে আঙ্গিকের সকল শর্ত পূরণ করেও অনেক শিল্প কর্ম মহত্তম হয়ে উঠে না। কারণ তাঁর মধ্যে নাটক বা কবিতার অতিরিক্ত দ্যোতনা নেই। প্রতিটি শিল্পকর্মের মধ্যে আমি সেই চূড়ান্তের গন্ধ পাই যেখানে চলেছে আদি কুমারের চাকের ঘুর্নন । বিভাজনের নিয়ম জানব-চূড়ান্ত ঐক্যকে জানব না ও কেমন কথা?

Selim Al Deen

সেলিন আল দীন (১৮ আগস্ট, ১৯৪৯ - ১৪ জানুয়ারি, ২০০৮) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার ও গবেষক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার উপর গবেষণা করেছেন। বাংলা নাটকের শিকড় সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। সেলিম আল দীনের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। সেই সূত্রে ঘুরেছেন বহু জায়গা। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি ছিল তার চরম ঝোঁক। তাই দূরে কাছে নতুন বই দেখলেই পড়ে ফেলতেন এক নিমেষে। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর লেখক হওয়ার বিষয়ে পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। লেখক হিসাবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবীব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা তার বাংলা প্রবন্ধ নিগ্রো সাহিত্য ছাপা হয় ওই পত্রিকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সেলিম আল দীন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষে যোগ দেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীতে, কপিরাইটার হিসাবে। ১৯৭৪ সালে তিনিজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই বেগমজাদী মেহেরুন্নেসার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের একমাত্র সন্তান মইনুল হাসানের মৃত্যু হয় অল্প বয়সেই। মধ্যযুগের বাংলা নাট্যরীতি নিয়ে গবেষণা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশে একমাত্র বাংলা নাট্যকোষেরও তিনি প্রণেতা। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণকেন্দ্রিক এথনিক থিয়েটারেরও তিনি উদ্ভাবনকারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। তার সম্পাদনায় ‘থিয়েটার স্ট্যাডিজ’ নামে পত্রিকা প্রকাশিত হতো নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। তার প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত একাঙ্কিকা নাটক বিপরীত তমসায় ১৯৬৮ সালে দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সাময়িকীতে বের হয়। প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় ১৯৬৯ সালে এবং টেলিভিশন নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় লিব্রিয়াম (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয় ১৯৭০ সালে। আমিরুল হক চৌধুরী নির্দেশিত এবং বহুবচন প্রযোজিত প্রথম মঞ্চনাটক সর্প বিষয়ক গল্প মঞ্চায়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। তিনি শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন নি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্যবিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন। তার রচিত হরগজ নাটকটি সুয়েডীয় ভাষায় অনূদিত হয় এবং এ নাটকটি ভারতের রঙ্গকর্মী নাট্যদল হিন্দি ভাষায় মঞ্চায়ন করেছে। সেলিম আল দীনের প্রথমদিককার নাটকের মধ্যে সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, এক্সপ্লোসিভ ওমূল সমস্যা, এগুলোর নাম ঘুরে ফিরে আসে। সেই সঙ্গে প্রাচ্য, কীত্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সয়ফুল মুলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতী কন্যার মন, মুনতাসির ফ্যান্টাসিও চাকা তাকে ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যকার হিসেবে পরিচিত করে তোলে। জীবনের শেষ ভাগে নিমজ্জন নামে মহাকাব্যিক এক উপাখ্যান বেরিয়ে আসে সেলিম আল দীনের কলম থেকে। সেলিম আল দীনের নাটকে বাংলা জনপদের প্রান্তিক মানুষের চিত্র অসামান্য সারলে ফুটে উঠেছে

Title

দিনলিপি (সেলিন আল দীন)

Author

Selim Al Deen

Publisher

Mowla Brothers

Number of Pages

408

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Memoir
  • First Published

    FEB 2009

    রবীন্দ্র-উত্তরকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নাট্যকার। সেলিম আল দীন নিজের দিনলিপি ও তাঁর শিল্পাদর্শ সম্পর্কে লিখেছেন- দিনলিপি নয়, কাব্য নয়, আর একে গদ্যই বা বলি কি করে? আত্মজৈবনিক আত্মজ কতকিছু নাম দিতে পারি এ গ্রন্থের। কাব্য হলে কথা সাজাতে হয়, দিনলিপিতে থাকে ক্ষণ তারিখের লাল কালাে হলুদ নীল, আত্মজৈবনিক হলে নির্বিশেষ ঘটনাপণ্ড পেত হন এতে। আত্মজ মানে আত্মার ভেতর থেকে জন্ম নিল যে রচনা কিন্তু শিল্পের প্রচলিত রূপতত্তে এরকম নাম তাে মেলে । আর গদ্যে লেখা গ্রন্থ মানেই গদ্যগ্রন্থ এ সংজ্ঞা আমি মানিনা গদ্যও তাে হতে পারে। ভাস্কর্য ধর্মী, সঙ্গীত ধর্মী, চলচ্চিত্রধর্মী...। শিল্পের নানান ঘরে নানান নপুর ঝঙ্কারএকজোড়া চোখ আর একজোড়া কানেই তাঁর বসবাস। সেখানে ধ্রুপদী ভারতীয় সাহিত্যে শিল্পতত্তে যেমন বলা হয় 'রসাদ তাঁর ঝঙ্কার এক। শিল্পে আমি নিশ্চিতই দ্বৈতাদ্বৈতবাদ শিল্পে দ্বৈতাদ্বৈত তত্ত্বটি না বুঝলে, নানা আঙ্গিকের মধ্য দিয়ে মানবের পূর্ণতর ও বিশালতার বােধটি খণ্ডিত হয়ে যায়। তবে সকল শিল্প রচনাই-আঙ্গিকের অর্গল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে না । বহু কবিতা শুধু সেফ কবিতাই বহু নাটক, দৃশ্য ও অঙ্কের বন্ধনে এত তৃপ্ত যে, যেন। নাটক হতে পারাটাই তাঁর সমস্ত দাড়ি কমা, বাক্যের পরম কাম্য ছিল। কবিতার বা নাটকের অন্তরে যে শক্তি তা কেবল তখনই বন্ধনকে ভাবতে সক্ষম যখন বাণীতে। বচনে বিশাল হয়ে উঠে। সে বিশালতাকে নিয়ম নির্দিষ্ট আঙ্গিকে বাধবার উপায় নেই। অন্যদিকে আঙ্গিকের সকল শর্ত পূরণ করেও অনেক শিল্প কর্ম মহত্তম হয়ে উঠে না। কারণ তাঁর মধ্যে নাটক বা কবিতার অতিরিক্ত দ্যোতনা নেই। প্রতিটি শিল্পকর্মের মধ্যে আমি সেই চূড়ান্তের গন্ধ পাই যেখানে চলেছে আদি কুমারের চাকের ঘুর্নন । বিভাজনের নিয়ম জানব-চূড়ান্ত ঐক্যকে জানব না ও কেমন কথা?
    No Specifications