Skip to Content
বেইজিং কর্মপরিকলপনা : নারীর অগ্রগতির পথরেখা

Price:

275.00 ৳


চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
325.00 ৳
325.00 ৳
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
325.00 ৳
325.00 ৳

বেইজিং কর্মপরিকলপনা : নারীর অগ্রগতির পথরেখা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/26927/image_1920?unique=cfb3a9b

275.00 ৳ 275.0 BDT 275.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

১৯৯৫ চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ বিশ্বনারী সম্মেলন। ১৯৯৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বিশ্বনারী প্রগতির দেড় যুগ অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে কতটা অগ্রগতি ঘটেছে তাও পর্যালােচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ বেইজিং পরবর্তী পর্যালােচনা ও পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত অধিবেশনটি হয় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একদশক অতিক্রান্ত হওযা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৫৫তম সাধারণ অধিবেশনে। সেই একই বছরে বেইজিং সম্মেলনও পনেরাে বছরে পা রাখে, ফলে এই সময়কে ‘বেইজিং+১৫' নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৯৫ সালের বেইজিং বিশ্বনারী সম্মেলনের ঘােষণা ও অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে, বিগত দেড় দশক ধরে (১৯৯৫-২০১০) বাংলাদেশ সরকার নারী পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ, সমতা বিধান ও পুরুষের পাশাপাশি নারী উন্নয়নে ব্যাপক ও বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাসহ সিভিল সােসাইটি, বিশেষ করে নারী সংগঠনগুলাে বেইজিং ঘােষণা ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার যেন, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে ব্যাপারে কখনও সরকারকে সহায়তা, কখনও চাপ প্রয়ােগ করে সরকারি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে। উল্লিখিত ১২টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাই লক্ষ করা যাবে, শতভাগ না হলেও অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত লেখাগুলাে পড়লেই বােঝা যাবে নারী উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। আমাদের প্রত্যাশা সরকার এসব মতামত ও বিশ্লেষণকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে আগামী দিনগুলােতে নারী উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও ফলপ্রসূ করে তুলবে।

সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন ২১টি উপন্যাস, ৭টি গল্পগ্রন্থ ও ৪টি প্রবন্ধগ্রন্থের রচয়িতা সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। সমকালীন রাজনৈতিক সংকট ও দ্বন্দ্বের উৎস ও প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে সেলিনা হোসেন এর বই সমূহ-তে। সেলিনা হোসেন এর বই সমগ্র অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, রুশসহ একাধিক ভাষায়। প্রবীণ এ লেখিকা ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালের ১৪ই জুন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। আদি পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীতে হলেও সেখানে বেশি দিন থাকা হয়নি তার। চাকরিসূত্রে তার বাবা রাজশাহী চলে এলে সেটিই হয়ে ওঠে সেলিনার শহর। স্থানীয় এক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে রাজশাহী মহিলা কলেজে ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য পড়তে ভালোবাসতেন তিনি। আর ভালোবাসার টানে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। এখান থেকেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সেলিনা হোসেন। এরপর সরকারি কলেজে শিক্ষকতা এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনেও কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি পত্রপত্রিকার জন্য চালিয়ে গেছেন তার কলম। টানা ২০ বছর তিনি ‘ধান শালিকের দেশ’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেলিনা হোসেন মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস রচনা করে পাঠকমনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার রচিত মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক কালজয়ী উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রও। ‘যাপিত জীবন’, ‘ক্ষরণ’, ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’, ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, ‘যুদ্ধ’, ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ (তিন খণ্ড) ইত্যাদি তার জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘স্বদেশে পরবাসী’, ‘একাত্তরের ঢাকা’, ‘ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন’ ইত্যাদি তার জনপ্রিয় প্রবন্ধ। কিশোরদের জন্য তিনি লিখেছেন ‘কাকতাড়ুয়া’, ‘চাঁদের বুড়ি পান্তা ইলিশ’, ‘আকাশ পরী’, ‘এক রূপোলি নদী’ সহ বেশ কিছু সুপাঠ্য গ্রন্থ। সাহিত্যাঙ্গনে এই অনবদ্য অবদানের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়াও তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’, ‘রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার’, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ সহ অসংখ্য পদক পুরস্কার পেয়েছেন।

মাসুদুজ্জামান

মাসুদুজ্জামান প্রধানত কবি। তবে প্রবন্ধ ও গবেষণাতেও অনিঃশেষ আগ্রহ তার। জাতীয় দৈনিক, ছােটকাগজ ও সাহিত্য পত্রিকায় সাহিত্য-সমালােচনা, সাহিত্যতত্ত্ব, নারীবাদ, বিশেষ করে বিদেশি উল্লেখযােগ্য লেখকদের সুখপাঠ্য লেখার অনুবাদসূত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত একজন লেখক। তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : নির্বাচিত কবিতা [কবিতা], বাংলাদেশের সাহিত্যপাঠ : রাষ্ট্র রাইফেল ও ব্যক্তিমানুষের বয়ান (প্রবন্ধ) , বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার কবিতা : দুই প্রতিবেশী ধারা প্রবন্ধ], রবীন্দ্রনাথ ও তার শিক্ষাভাবনা [প্রবন্ধ], পুরুষতন্ত্র ও যৌনরাজনীতি নারী অধ্যয়ন], নারী যৌনতা রাজনীতি নারী-অধ্যয়ন], কাফকার প্রেম [অনুবাদ], জেন্ডার বিশ্বকোষ [সেলিনা হােসেনের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনা]। পেশাগত জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কয়েক বছর তাইওয়ানের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। সাহিত্য- সংস্কৃতির অনলাইন পাের্টাল তীরন্দাজ’-এর সম্পাদক।

Title

বেইজিং কর্মপরিকলপনা : নারীর অগ্রগতির পথরেখা

Author

সেলিনা হোসেন , মাসুদুজ্জামান

Publisher

Mowla Brothers

Number of Pages

210

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Women Issues
  • First Published

    FEB 2011

    ১৯৯৫ চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ বিশ্বনারী সম্মেলন। ১৯৯৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বিশ্বনারী প্রগতির দেড় যুগ অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে কতটা অগ্রগতি ঘটেছে তাও পর্যালােচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ বেইজিং পরবর্তী পর্যালােচনা ও পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত অধিবেশনটি হয় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একদশক অতিক্রান্ত হওযা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৫৫তম সাধারণ অধিবেশনে। সেই একই বছরে বেইজিং সম্মেলনও পনেরাে বছরে পা রাখে, ফলে এই সময়কে ‘বেইজিং+১৫' নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৯৫ সালের বেইজিং বিশ্বনারী সম্মেলনের ঘােষণা ও অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে, বিগত দেড় দশক ধরে (১৯৯৫-২০১০) বাংলাদেশ সরকার নারী পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ, সমতা বিধান ও পুরুষের পাশাপাশি নারী উন্নয়নে ব্যাপক ও বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাসহ সিভিল সােসাইটি, বিশেষ করে নারী সংগঠনগুলাে বেইজিং ঘােষণা ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার যেন, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে ব্যাপারে কখনও সরকারকে সহায়তা, কখনও চাপ প্রয়ােগ করে সরকারি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে। উল্লিখিত ১২টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাই লক্ষ করা যাবে, শতভাগ না হলেও অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত লেখাগুলাে পড়লেই বােঝা যাবে নারী উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। আমাদের প্রত্যাশা সরকার এসব মতামত ও বিশ্লেষণকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে আগামী দিনগুলােতে নারী উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও ফলপ্রসূ করে তুলবে।
    No Specifications