Skip to Content
কথোপকথন (মাটিগন্ধ্যা)

Price:

200.00 ৳


হিট রিফ্রেশ
হিট রিফ্রেশ
375.00 ৳
375.00 ৳
খুশবন্ত সিং ১
খুশবন্ত সিং ১
250.00 ৳
250.00 ৳

কথোপকথন (মাটিগন্ধ্যা)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/32776/image_1920?unique=531b500

200.00 ৳ 200.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

একদা কলকাতা নামের এই শহরে শুভঙ্কর নামে ৪৫ বছর বয়সী এক সদ্যজাত যুবক ভালােবেসে ফেলেছিল নন্দিনী নামের এক বিদ্যুৎ-শিখাকে। গেরিলাযুদ্ধের মতাে তাদের গােপন ভালােবাসাবাসির নিত্যসঙ্গী ছিলাম আমি। আর নিজের খাতায় রােজ টুকে রাখতুম তাদের আবীরমাখানাে কথােপকথনগুলাে। সেই শুভঙ্করের বয়স এখন ৫০। সেই নন্দিনী হয়তাে এখন বন্দিনী নিদারুণ-সুখের কোনাে সােনার পালঙ্কে। ওদের মাঝখানে নদী আর খেয়া দুটোই গেছে হারিয়ে। এবার ভেবেছিলুম ঝড়ের অন্ধকারে উড়িয়ে দেই টুকরাে এইসব কাগজ। পরে মনে হলাে, যারা ভালােবাসে, ভালােবেসে জলে, জ্বলে পৃথিবীর দিগন্তকে রাঙ্গিয়ে দেয় ভিন্ন এক গােধূলি-আলােয়, তাদের সকলেরই অনেক আপন-কথা, গােপন-কথা রয়ে গেছে এর ভেতরে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও যাদের রক্তে শুরু হবে তুমুল শ্রাবণের চাষবাস, তাদের মুখগুলােও ভেসে উঠলাে চোখে। অগত্যা ছিন্ন-ভিন্ন ওই সব কাগজগুলােকে হেলাফেলায় মরতে দিতে পারলাম না আর।

পুর্ণেন্দু পত্রী

পূর্ণেন্দুশেখর পত্রী (ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৩১ - মার্চ ১৯, ১৯৯৭) (পূর্ণেন্দু পত্রী নামে সর্বাধিক পরিচিত; ছদ্মনাম সমুদ্রগুপ্ত) একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, সাহিত্য গবেষক, কলকাতা গবেষক, চিত্র-পরিচালক ও প্রচ্ছদশিল্পী।পূর্ণেন্দু পত্রীর জন্ম বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার নাকোলে। পিতা পুলিনবিহারী পত্রী, মা নির্মলা দেবী। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পারিবারিক কলহের কারণে পৈতৃক ভিটা ছেড়ে চলে আসেন কলকাতায়। ১৯৪৯ সালে ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে ভর্তি হন বাণিজ্যিক শিল্পকলা বা কমার্শিয়াল আর্টের ছাত্র হিসেবে। যদিও নানা কারণে এই পাঠক্রম শেষ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ছেলেবেলায় বাগনানের বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা অমল গাঙ্গুলির সংস্পর্শে এসে কমিউনিস্ট পার্টির নানান সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কলকাতায় অভিভাবক কাকা নিকুঞ্জবিহারী পত্রীর চলচ্চিত্র পত্রিকা 'চিত্রিতা' ও সাহিত্যপত্র দীপালি-তে তার আঁকা ও লেখার সূচনা হয়। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য হয়ে পড়লে রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা উভয়েই একসঙ্গে চালাতে থাকেন। ১৯৫১ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ একমুঠো রোদ প্রকাশিত হয়। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস দাঁড়ের ময়না মানিক পুরস্কার লাভ করে। তার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল শব্দের ঠিকানা (১৯৭৫), সূর্যোদয় তুমি এলে (১৯৭৬) আমাদের তুমুল হৈ-হল্লা (১৯৮০) ও গভীর রাতের ট্রাঙ্ককল (১৯৮১), আমিই কচ আমিই দেবযানী ইত্যাদি। সাহিত্য গবেষক শিশির কুমার দাশ তার কাব্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ছন্দের কৌশল, প্রতিমা গঠনের স্পষ্টতা এবং কথনভঙ্গির ঘরোয়া চাল তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য। পূর্ণেন্দু পত্রীর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভোমরাগুড়ি, মালতীমঙ্গল ইত্যাদি। রূপসী বাংলার দুই কবি তার একটি বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ। পূর্ণেন্দু পত্রী কলকাতা সম্বন্ধে প্রায় এক ডজন গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য শহর কলকাতার আদি পর্ব, বঙ্গভঙ্গ, কি করে কলকাতা হল, ছড়ায় মোড়া কলকাতা, কলকাতার রাজকাহিনী, এক যে ছিল কলকাতা ইত্যাদি। জীবনের শেষপর্বে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এক বিশাল গবেষণার কাজ শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে ১৯৯৬ সালে তার প্রথম খণ্ড বঙ্কিম যুগ প্রকাশিত হয়। শিশুসাহিত্যেও তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় লেখক। ছোটোদের জন্য লিখেছেন আলটুং ফালটুং, ম্যাকের বাবা খ্যাঁক, ইল্লীবিল্লী, দুষ্টুর রামায়ণ, জুনিয়র ব্যোমকেশ, জাম্বো দি জিনিয়াস, প্রভৃতি হাসির বই। আমার ছেলেবেলা নামে তার একটি স্মৃতিকথাও রয়েছে। সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে বিদ্যাসাগর পুরস্কারে ভূষিত করেন।

Title

কথোপকথন (মাটিগন্ধ্যা)

Author

পুর্ণেন্দু পত্রী

Publisher

Matigondha

Number of Pages

135

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Poems
  • First Published

    AUG 2019

    একদা কলকাতা নামের এই শহরে শুভঙ্কর নামে ৪৫ বছর বয়সী এক সদ্যজাত যুবক ভালােবেসে ফেলেছিল নন্দিনী নামের এক বিদ্যুৎ-শিখাকে। গেরিলাযুদ্ধের মতাে তাদের গােপন ভালােবাসাবাসির নিত্যসঙ্গী ছিলাম আমি। আর নিজের খাতায় রােজ টুকে রাখতুম তাদের আবীরমাখানাে কথােপকথনগুলাে। সেই শুভঙ্করের বয়স এখন ৫০। সেই নন্দিনী হয়তাে এখন বন্দিনী নিদারুণ-সুখের কোনাে সােনার পালঙ্কে। ওদের মাঝখানে নদী আর খেয়া দুটোই গেছে হারিয়ে। এবার ভেবেছিলুম ঝড়ের অন্ধকারে উড়িয়ে দেই টুকরাে এইসব কাগজ। পরে মনে হলাে, যারা ভালােবাসে, ভালােবেসে জলে, জ্বলে পৃথিবীর দিগন্তকে রাঙ্গিয়ে দেয় ভিন্ন এক গােধূলি-আলােয়, তাদের সকলেরই অনেক আপন-কথা, গােপন-কথা রয়ে গেছে এর ভেতরে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও যাদের রক্তে শুরু হবে তুমুল শ্রাবণের চাষবাস, তাদের মুখগুলােও ভেসে উঠলাে চোখে। অগত্যা ছিন্ন-ভিন্ন ওই সব কাগজগুলােকে হেলাফেলায় মরতে দিতে পারলাম না আর।
    No Specifications