Skip to Content
বাঙালী জীবনে রমণী (মিত্র ও ঘোষ)

Price:

500.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

বাঙালী জীবনে রমণী (মিত্র ও ঘোষ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/14498/image_1920?unique=cb6fe2c

500.00 ৳ 500.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আমার ইংরেজী বই মুখ্যত ইংরেজী-ভাষা-ভাষী সমাজের জন্য লিখিত ও প্রকাশিত হইলেও আমি জানিতাম ভারতবর্ষে বা বাংলাদেশে ইংরেজী জানা পাঠকেরা উহা পড়িবেন। আমার আলােচ্য বিষয় যখন আমাদের ইতিহাস, আমাদের জীবন সমাজ ও সভ্যতা এবং এই সব সম্বন্ধে বিশেষ মত প্রচার করাই যখন আমার উদ্দেশ্য, তখন ভারতবর্ষের লােকের কাছে উহা না পৌছিলে আমার লেখা অনেক অংশে বৃথাই হইত ভাবিয়াছিলাম, ইংরেজীতে লিখিয়াই এদেশের পাঠকসাধারণের সম্মুখে দাঁড়াইতে পারিব, এই আশা খানিকটা পূর্ণ হইয়াছে, কিন্তু অন্যদিকে নিষ্ফলও হইয়াছে। আমি বুঝিয়াছি ইংরেজী ভাষায় লিখিয়া আজিকার বাঙালী শিক্ষিত সাধারণের কাছে পৌঁছিতে পারিব না। প্রথমত, তাহারা ইংরেজী পড়িবার অভ্যাস হারাইয়াছে, সুতরাং কোনও রকম ইংরেজী পড়িতেই আয়াস অনুভব করে, রস তাে পায়ই না। দ্বিতীয়ত, যে-ইংরেজীতে লিখিলে বই বিলাতি প্রকাশক গ্রহণ করিবে, সেই ইংরেজী বুঝিবার ক্ষমতা বেশীর ভাগ বাঙালী পাঠকের গিয়াছে। অর্থের অর্ধেক হয়ত তাহারা বুঝিতে পারে, কিন্তু বাকী অর্ধেক ও ব্যঞ্জনা তাহাদের মনে প্রবেশ করে না। কেউ যদি সঙ্গীত শুনিবার সময় বেশ খাদের দিক (অর্থাৎ ১৫০ স্পন্দনের নীচেকার ধ্বনি) ও বেশ চড়ার দিক (অর্থাৎ ৪০০০ স্পন্দনের উপরের ধ্বনি শুনিতে না পায়, তাহার সঙ্গীত শােনা যে কি প্রকার তাহা সকলেই বুঝিতে পারিবেন। বিলাতে যে ইংরেজী গ্রাহ্য তাহার বেশীর ভাগ সাধারণ পাঠক এই রূপে অংশত মাত্র নিতে পারে। সুতরাং ইংরেজীতে বাঙালী সাধারণের জন্য লেখা কেন? অথচ বাংলা দেশ ও বাঙালীর যে অবস্থা দাঁড়াইয়াছে, তাহাতে কাহারও যদি কিছু বলিবার থাকে উহা বাঙালীর বােধ্য ভাষায় বলা উচিত।

নীরদচন্দ্র চৌধুরী

নীরদচন্দ্র চৌধুরী (জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯৯৯) একজন খ্যাতনামা দীর্ঘজীবী বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ। স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারী শীর্ষক ম্যাক্স মুলারের জীবনী লিখে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে নীরদচন্দ্র চৌধুরী ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তার ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তির্যক প্রকাশভঙ্গির জন্য বিশেষভাবে আলোচিত ছিলেন উপেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও সুশীলা সুন্দরী চৌধুরানীর ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় নীরদ চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ এবং কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। এফএ পরীক্ষা পাশ করে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) অন্যতম বাঙালি লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একত্রে ভর্তি হন। এরপর নীরদ কলকাতার অন্যতম খ্যাতিমান স্কটিশ চার্চ কলেজে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্কটিস চার্চ কলেজের ছাত্র হিসেবে তিনি ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মেধা তালিকায় নিজের স্থান করে নেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের সেমিনারে ভারতবর্ষের অতিপরিচিত ব্যক্তিত্ব ও ইতিহাসবেত্তা প্রফেসর কালিদাস নাগের সাথে অংশগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও ১৯২০-এর অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন নি। এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি। ইতোমধ্যে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে Objective Methods in History শিরোনামে একটি তাত্ত্বিক প্রবন্ধ রচনা করেন|

Nirad Chandra Chaudhuri

নীরদচন্দ্র চৌধুরী (জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯৯৯) একজন খ্যাতনামা দীর্ঘজীবী বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ। স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারী শীর্ষক ম্যাক্স মুলারের জীবনী লিখে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে নীরদচন্দ্র চৌধুরী ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তার ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তির্যক প্রকাশভঙ্গির জন্য বিশেষভাবে আলোচিত ছিলেন উপেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও সুশীলা সুন্দরী চৌধুরানীর ৮ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় নীরদ চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ এবং কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। এফএ পরীক্ষা পাশ করে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) অন্যতম বাঙালি লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একত্রে ভর্তি হন। এরপর নীরদ কলকাতার অন্যতম খ্যাতিমান স্কটিশ চার্চ কলেজে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্কটিস চার্চ কলেজের ছাত্র হিসেবে তিনি ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মেধা তালিকায় নিজের স্থান করে নেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের সেমিনারে ভারতবর্ষের অতিপরিচিত ব্যক্তিত্ব ও ইতিহাসবেত্তা প্রফেসর কালিদাস নাগের সাথে অংশগ্রহণ করেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও ১৯২০-এর অনুষ্ঠিত এম. এ. পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন নি। এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি। ইতোমধ্যে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে Objective Methods in History শিরোনামে একটি তাত্ত্বিক প্রবন্ধ রচনা করেন|

Title

বাঙালী জীবনে রমণী (মিত্র ও ঘোষ)

Author

নীরদচন্দ্র চৌধুরী , Nirad Chandra Chaudhuri

Publisher

Mitra & Ghosh Publishers Pvt. Ltd.

Number of Pages

212

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History
  • Culture
  • Society
  • First Published

    APR 2018

    আমার ইংরেজী বই মুখ্যত ইংরেজী-ভাষা-ভাষী সমাজের জন্য লিখিত ও প্রকাশিত হইলেও আমি জানিতাম ভারতবর্ষে বা বাংলাদেশে ইংরেজী জানা পাঠকেরা উহা পড়িবেন। আমার আলােচ্য বিষয় যখন আমাদের ইতিহাস, আমাদের জীবন সমাজ ও সভ্যতা এবং এই সব সম্বন্ধে বিশেষ মত প্রচার করাই যখন আমার উদ্দেশ্য, তখন ভারতবর্ষের লােকের কাছে উহা না পৌছিলে আমার লেখা অনেক অংশে বৃথাই হইত ভাবিয়াছিলাম, ইংরেজীতে লিখিয়াই এদেশের পাঠকসাধারণের সম্মুখে দাঁড়াইতে পারিব, এই আশা খানিকটা পূর্ণ হইয়াছে, কিন্তু অন্যদিকে নিষ্ফলও হইয়াছে। আমি বুঝিয়াছি ইংরেজী ভাষায় লিখিয়া আজিকার বাঙালী শিক্ষিত সাধারণের কাছে পৌঁছিতে পারিব না। প্রথমত, তাহারা ইংরেজী পড়িবার অভ্যাস হারাইয়াছে, সুতরাং কোনও রকম ইংরেজী পড়িতেই আয়াস অনুভব করে, রস তাে পায়ই না। দ্বিতীয়ত, যে-ইংরেজীতে লিখিলে বই বিলাতি প্রকাশক গ্রহণ করিবে, সেই ইংরেজী বুঝিবার ক্ষমতা বেশীর ভাগ বাঙালী পাঠকের গিয়াছে। অর্থের অর্ধেক হয়ত তাহারা বুঝিতে পারে, কিন্তু বাকী অর্ধেক ও ব্যঞ্জনা তাহাদের মনে প্রবেশ করে না। কেউ যদি সঙ্গীত শুনিবার সময় বেশ খাদের দিক (অর্থাৎ ১৫০ স্পন্দনের নীচেকার ধ্বনি) ও বেশ চড়ার দিক (অর্থাৎ ৪০০০ স্পন্দনের উপরের ধ্বনি শুনিতে না পায়, তাহার সঙ্গীত শােনা যে কি প্রকার তাহা সকলেই বুঝিতে পারিবেন। বিলাতে যে ইংরেজী গ্রাহ্য তাহার বেশীর ভাগ সাধারণ পাঠক এই রূপে অংশত মাত্র নিতে পারে। সুতরাং ইংরেজীতে বাঙালী সাধারণের জন্য লেখা কেন? অথচ বাংলা দেশ ও বাঙালীর যে অবস্থা দাঁড়াইয়াছে, তাহাতে কাহারও যদি কিছু বলিবার থাকে উহা বাঙালীর বােধ্য ভাষায় বলা উচিত।
    No Specifications