নিরবধিকাল

কবি মাসুদ মাহির সাথে অথির যে সম্পর্ক সেটা প্রেমের নয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে ঘনিষ্ঠ প্রেমে জড়িয়ে আছে তারা। আসলে সত্যিকারের প্রেম তেমন নয়।। তালুকদার মুহিবুল আলম অথিকে ভালােবাসেন। তাঁর ভালােবাসায় খামতি নেই। প্রেমের টানটাও পরস্পরের প্রতি সেভাবেই প্রকাশ পায়। ধ্যানে-জ্ঞানে, দিনে-রাতে সর্বক্ষণই টানটা অনুভূত হয়। কিন্তু বয়সটা অসম। এতটা অসম বয়সের প্রেম এই সমাজ একেবারেই গ্রহণ করে না। অথির গানের গলা সুন্দর। মুগ্ধ হয়ে তার গান শােনেন তালুকদার মুহিবুল আলম। তারা বিয়ে করার প্রস্তুতি নেয়। তালুকদার মুহিবুল আলমের প্রথম স্ত্রী মমতা, স্বামীকে ডিভাের্স লেটার পাঠান। তালুকদার মুহিবুল আলম সেই ডিভাের্স লেটারে সই করেন। তিনি বিয়ে করেন প্রেমিকা অথিকে। যাকে তিনি আদর করে ডাকেন হিয়া নামে।। তালুকদার মুহিবুল আলমের প্রথম স্ত্রী মমতা, রঞ্জু চৌধুরী নামক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্মের এক শিক্ষককে বিয়ে করেন। তাতে করে তার পুরনাে প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। তালুকদার মুহিবুল আলম এবং অথির সংসারে আসে নতুন অতিথি। নাম রাখা হয় অতল। অতলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হয়। অতলের বাবা তালুকদার মুহিবুল আলমকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুবরণ করেন তিনি। অথি মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে বলে, “নিরবধিকাল ধরে সে। শুধু তালুকদারের হয়েই থাকবে।” “প্রেম তাে এমনই। যতটা দেয় তারও বেশি কেড়ে নেয়।”