Skip to Content
চাঁদমুখ

Price:

180.00 ৳


উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
উইংস অব ফায়ার : এ পি জে আবদুল কালাম (অন্যধারা)
250.00 ৳
250.00 ৳
বঙ্গবন্ধু সংকলন
বঙ্গবন্ধু সংকলন
250.00 ৳
250.00 ৳

চাঁদমুখ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/33715/image_1920?unique=0fec06c

180.00 ৳ 180.0 BDT 180.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

নদীর পাড়ে হারানের ছােট্ট ছনের ঘর । অনতিদূরে ব্যাঙের ছাতার মতাে গজে ওঠা জেলেদের ঘর । জেলেপাড়ায় জলপুত্র-জলপুত্রীদের বসবাস। এখানে নিত্য স্বর্গনরক। জলমানব ও জলমানবীদের হাঁকডাকে সরগরম এ পাড়া । হারানও জেলেপাড়ায় বসবাস করে। সে এ পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা নয় । জেলেপাড়ার সবাই তা জানে। বছর কয়েক আগে এখানে এসে বসতি গড়েছে। হারান নদীভাঙা ভাসমান মানুষ। বয়স কম, সংসার নেই। মাঝিগিরি করে পেট চালায়। মনের সুখে গান গায়। আষাঢ় মাস। ভাের থেকেই মৌসুমি বৃষ্টির চমৎকার খেলা চলছে। হারান। তার ছােট্ট নৌকায় চুপচাপ বসে আছে। আজ ঘাটে তেমন যাত্রী নেই। চারদিকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখছে কেউ আসছে কি না। আর অতীত জীবনের কথা ভাবছে। সে ভাবে আজ বােধ হয় কেউ আসবে না। হঠাৎ মাথায় এলাে, বসে না থেকে চাচার দেওয়া চিঠিখানা আর একবার পড়া যাক। হারান প্রাইমারিতে পড়েছে। একটু-আধটু লিখতে-পড়তে জানে। নৌকার ছাউনিতে লুকিয়ে রাখা চিঠিখানা বের করে পড়ছে। | চিঠিতে লেখা আছে- হারান তুমি যেভাবে আছ, যেমন আছ, ঠিক তেমনিভাবে থাক। কোনাে প্রকার এদিক-ওদিক যাবে না। পুলিশ হন্যে হয়ে তােমাকে খুঁজছে। চিঠির শেষটা পড়ার আগেই হারান মাঝির ডাক পড়ে । এবার বুঝি কপাল খুলল । হারান মাঝি... ও হারান মাঝি, জলদি বাইর হইয়া আস। তড়িঘড়ি করে হাতের চিঠিটা কোমরে খুঁজে যেদিক থেকে ডাক এসেছে সেদিকে তাকিয়ে বলল— কে গাে তুমি, কই যাইবা? পলাশপুর । —কোন পাড়ায়? —উত্তর পাড়ায়। দাঁড়াও আইতাছি।

Gazi Faruk Ahmed Pritthi

গাজী ফারুক আহমেদ পৃথ্বী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার বারাইশ গ্রামে। গাজী বাড়িতে ১৯৭৫ সালের ১লা জুন জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মােহাম্মদ ফজলুর রহমান ও মা মনােয়ারা বেগম। তিনি বাংলা সাহিত্যে এমএ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে জানার এক অদম্য কৌতুহল তার। দীর্ঘদিন যাবৎ লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। তিনি বাংলা একাডেমি, ফ্লিম আই, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সােসাইটি ও পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সেন্টারের সদস্য। কবিতা, শিশুসাহিত্য, ছােটোগল্প, উপন্যাস সহ সাহিত্যের সব শাখাতে তাঁর অবাধ পদচারণা। তার প্রকাশিত উপন্যাস ‘শ্রাবণের মধ্যরাতে’, ‘শ্যামল তালবন। ছােটোগল্পের বই ‘কালবেলার যাত্রী। শিশু-কিশাের গল্পগ্রন্থ ‘স্বপ্নপুরীর দেশে, ‘গল্পগুলাে ভূতের’, ‘ছােটোদের মজার মজার গল্প পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। আশা করছি ছােটোগল্পের বই ‘চাদমুখ’ বইটিও পাঠকপ্রিয়তা পাবে।

Title

চাঁদমুখ

Author

Gazi Faruk Ahmed Pritthi

Publisher

Puthiniloy Prokashany

Number of Pages

63

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Story
  • First Published

    FEB 2021

    নদীর পাড়ে হারানের ছােট্ট ছনের ঘর । অনতিদূরে ব্যাঙের ছাতার মতাে গজে ওঠা জেলেদের ঘর । জেলেপাড়ায় জলপুত্র-জলপুত্রীদের বসবাস। এখানে নিত্য স্বর্গনরক। জলমানব ও জলমানবীদের হাঁকডাকে সরগরম এ পাড়া । হারানও জেলেপাড়ায় বসবাস করে। সে এ পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা নয় । জেলেপাড়ার সবাই তা জানে। বছর কয়েক আগে এখানে এসে বসতি গড়েছে। হারান নদীভাঙা ভাসমান মানুষ। বয়স কম, সংসার নেই। মাঝিগিরি করে পেট চালায়। মনের সুখে গান গায়। আষাঢ় মাস। ভাের থেকেই মৌসুমি বৃষ্টির চমৎকার খেলা চলছে। হারান। তার ছােট্ট নৌকায় চুপচাপ বসে আছে। আজ ঘাটে তেমন যাত্রী নেই। চারদিকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখছে কেউ আসছে কি না। আর অতীত জীবনের কথা ভাবছে। সে ভাবে আজ বােধ হয় কেউ আসবে না। হঠাৎ মাথায় এলাে, বসে না থেকে চাচার দেওয়া চিঠিখানা আর একবার পড়া যাক। হারান প্রাইমারিতে পড়েছে। একটু-আধটু লিখতে-পড়তে জানে। নৌকার ছাউনিতে লুকিয়ে রাখা চিঠিখানা বের করে পড়ছে। | চিঠিতে লেখা আছে- হারান তুমি যেভাবে আছ, যেমন আছ, ঠিক তেমনিভাবে থাক। কোনাে প্রকার এদিক-ওদিক যাবে না। পুলিশ হন্যে হয়ে তােমাকে খুঁজছে। চিঠির শেষটা পড়ার আগেই হারান মাঝির ডাক পড়ে । এবার বুঝি কপাল খুলল । হারান মাঝি... ও হারান মাঝি, জলদি বাইর হইয়া আস। তড়িঘড়ি করে হাতের চিঠিটা কোমরে খুঁজে যেদিক থেকে ডাক এসেছে সেদিকে তাকিয়ে বলল— কে গাে তুমি, কই যাইবা? পলাশপুর । —কোন পাড়ায়? —উত্তর পাড়ায়। দাঁড়াও আইতাছি।
    No Specifications