Skip to Content
আলোর ডুব

Price:

200.00 ৳


হিট রিফ্রেশ
হিট রিফ্রেশ
375.00 ৳
375.00 ৳
খুশবন্ত সিং ১
খুশবন্ত সিং ১
250.00 ৳
250.00 ৳

আলোর ডুব

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/32103/image_1920?unique=0fec06c

200.00 ৳ 200.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রশিটাকে হাতে নিয়ে বেড রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে। লাগিয়ে গলাতে বাঁধল অপূর্ণ। ফ্যানের সাথে ঝুলার জন্য যে চেয়ারটার সাহায্য নিয়েছিল তাকে পা দিয়ে সরিয়ে দিতেই রশিতে জোরে টান পড়ল । শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে অত্যল্পকালে! কিন্তু অপর্ণের কোনাে মায়া হচ্ছে না জীবন, সংসার ও পৃথিবীর জন্য! চোখে অন্ধকার নামছে! এই বুঝি শ্বাস থেমে গেল! মুখ দিয়ে জিহ্বা বাইরে বের হয়ে আসছে! এমন সময়ও নাকে ঢুকছে ময়লার দুর্গন্ধ । মৃত্যুর আগেও কী ভয়ানক ঘ্রাণ! দুর্গন্ধটা চারদিক থেকেই আসছে মনে হচ্ছে। দম বের হয়ে যাবার উপক্রমে বমি করতে করতে চিৎকার করে ওঠল অপূর্ণ! চিৎকারের সাথে সাথে এত সাধনার ঘুম তার ভেঙ্গে গেল । অনেক ব্যথা সহ্য করে, অনেক ভাবনার পাগলামি সয়ে তাকে প্রতি রাতে একটু ঘুমাতে হয় । জেগে থাকা স্বপ্নেরা রাতের বেলা ধরা দেয় আতঙ্ক আর হতাশা হয়ে! আজ রাতেও চরম। অস্থিরতা ও শত স্মরণ শিখার প্রজ্জ্বলনে জ্বলে একটু ঘুমিয়েছিল! অবশেষে মৃত্যু স্বপ্নের ছােবলে গভীর রাতে অপূর্ণের ভেতর-বাহির তছনছ হয়ে গেল! সজাগ হয়ে দেখে নাকে-মুখে বালিশ চেপে আছে। নিজের মৃত্যু মঞ্চ নিজে দেখে ভয়ে থরথর করে কাপছে অপর্ণ! নির্বাক হয়ে ভাবছে কী দেখলাম, আমার ফাঁসি কি না আমিই দেখলাম? এমনিতেই চিন্তার জগৎ জুড়ে নৈরাশ্য আর জীবন ব্যর্থতার হাহাকার তাকে পাগল করে তুলছে। তার ওপর এমন আত্মহত্যার দৃশ্য! শিক্ষাকে একটা জাতির ভিত্তি মনে করে শিক্ষকতা করতে এসে আজ ময়লা পানিতে মাথা ভিজল! অন্ধকার রুমে ফ্যান ঘােরার শব্দ পাচ্ছে! ফাঁসির মঞ্চ কোনাে খারাপ বার্তা দিয়ে গেল কি না বুঝতে পারছে না অপূর্ণ। শুয়ে থেকেই কপালে হাত দিয়ে কল্পনা করে, যে ছাত্রকে নীতি-নৈতিকতার কথা বলে শিক্ষিত করে তুলছি সে ছাত্রই কি না তার কাছে চাদা চায়! আর সে চাদা না দেওয়াতে গাে-মূত্র মিশ্রিত পানির বালতি তারই শিক্ষকের মাথায় ঢেলে দিল! এর চেয়েতাে মৃত্যুই ভালাে! ময়লা পানির গন্ধ মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে, সমাজের কাছে যেভাবে মাথা নিচু হয়ে গেল তা আর উচু হবার উপায় দেখছে না অপূর্ণ। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে, এ লজ্জার দায় তাহলে কার?

মোসলেম উদ্দিন সাগর

মােসলেম উদ্দিন সাগরের জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৮৫ খ্রিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের কাকরিয়া গ্রামে। মা মােছা. আবেদা খাতুন ও বাবা মরহুম লাল মিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান তিনি। পড়ালেখা: রানীদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি), রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি), অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে এসএসসি), অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার কলেজ (এইচএসসি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, উদ্ভিদবিদ্যা) । কর্মজীবন: সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি চাকরি করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য হিসেবে সরকারি দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: পথের শেষ নেই তবু পথে (কাব্যগ্রন্থ-২০১৯), জীবনের রঙ (উপন্যাস-২০২০)। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, গানসহ সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় তিনি স্বভাবজাত। কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ। টেলিভিশনের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার ।

Title

আলোর ডুব

Author

মোসলেম উদ্দিন সাগর

Publisher

Asia Publication

Number of Pages

80

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Story
  • First Published

    FEB 2021

    রশিটাকে হাতে নিয়ে বেড রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে। লাগিয়ে গলাতে বাঁধল অপূর্ণ। ফ্যানের সাথে ঝুলার জন্য যে চেয়ারটার সাহায্য নিয়েছিল তাকে পা দিয়ে সরিয়ে দিতেই রশিতে জোরে টান পড়ল । শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে অত্যল্পকালে! কিন্তু অপর্ণের কোনাে মায়া হচ্ছে না জীবন, সংসার ও পৃথিবীর জন্য! চোখে অন্ধকার নামছে! এই বুঝি শ্বাস থেমে গেল! মুখ দিয়ে জিহ্বা বাইরে বের হয়ে আসছে! এমন সময়ও নাকে ঢুকছে ময়লার দুর্গন্ধ । মৃত্যুর আগেও কী ভয়ানক ঘ্রাণ! দুর্গন্ধটা চারদিক থেকেই আসছে মনে হচ্ছে। দম বের হয়ে যাবার উপক্রমে বমি করতে করতে চিৎকার করে ওঠল অপূর্ণ! চিৎকারের সাথে সাথে এত সাধনার ঘুম তার ভেঙ্গে গেল । অনেক ব্যথা সহ্য করে, অনেক ভাবনার পাগলামি সয়ে তাকে প্রতি রাতে একটু ঘুমাতে হয় । জেগে থাকা স্বপ্নেরা রাতের বেলা ধরা দেয় আতঙ্ক আর হতাশা হয়ে! আজ রাতেও চরম। অস্থিরতা ও শত স্মরণ শিখার প্রজ্জ্বলনে জ্বলে একটু ঘুমিয়েছিল! অবশেষে মৃত্যু স্বপ্নের ছােবলে গভীর রাতে অপূর্ণের ভেতর-বাহির তছনছ হয়ে গেল! সজাগ হয়ে দেখে নাকে-মুখে বালিশ চেপে আছে। নিজের মৃত্যু মঞ্চ নিজে দেখে ভয়ে থরথর করে কাপছে অপর্ণ! নির্বাক হয়ে ভাবছে কী দেখলাম, আমার ফাঁসি কি না আমিই দেখলাম? এমনিতেই চিন্তার জগৎ জুড়ে নৈরাশ্য আর জীবন ব্যর্থতার হাহাকার তাকে পাগল করে তুলছে। তার ওপর এমন আত্মহত্যার দৃশ্য! শিক্ষাকে একটা জাতির ভিত্তি মনে করে শিক্ষকতা করতে এসে আজ ময়লা পানিতে মাথা ভিজল! অন্ধকার রুমে ফ্যান ঘােরার শব্দ পাচ্ছে! ফাঁসির মঞ্চ কোনাে খারাপ বার্তা দিয়ে গেল কি না বুঝতে পারছে না অপূর্ণ। শুয়ে থেকেই কপালে হাত দিয়ে কল্পনা করে, যে ছাত্রকে নীতি-নৈতিকতার কথা বলে শিক্ষিত করে তুলছি সে ছাত্রই কি না তার কাছে চাদা চায়! আর সে চাদা না দেওয়াতে গাে-মূত্র মিশ্রিত পানির বালতি তারই শিক্ষকের মাথায় ঢেলে দিল! এর চেয়েতাে মৃত্যুই ভালাে! ময়লা পানির গন্ধ মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে, সমাজের কাছে যেভাবে মাথা নিচু হয়ে গেল তা আর উচু হবার উপায় দেখছে না অপূর্ণ। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে, এ লজ্জার দায় তাহলে কার?
    No Specifications