বিপন্ন বৃষ্টিতে

ঘর-বাড়ি-বাগান-বারান্দার জগতে এক বাড়ি মানুষ নিয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিল জীবন। অমৃতা কখনো এর বেশি কিছু চায়নি। হঠাৎ এক পাগলাটে শিল্পীর সঙ্গে দেখা হলো অমৃতার। জীবনের যে দিকটি ছিল অচেনা তাই এবার তাকে জানায় জীবনের ফাঁকির কথা, ঠাট্টার কথা, মেনে নেওয়ার কথা। আরো বলে এমন কোনো সৌন্দর্যবোধের কথা যা নিয়ে ও কখনো ভাবেনি। একটু জটিল হয়ে উঠছে সবকিছু। অমৃতা এসব থেকে ছুটি নিয়ে চলে গেল রাজশাহীতে- যাকে বলা হয় রমণীর ‘হলিডে হোম', সেখানে । তখনই সে জানলো বা শিখলো এমন একটি কৌশল যা তার জীবন বহনে সাহায্য করবে। আর শিল্পী শুভ রহমান বেছে নিল এক অবাধ স্বাধীন জীবন, চলে গেল পৃথিবীর আরেক প্রান্তে। ওদের সম্পর্ককে অমৃতা কোনো রূপ বা নাম দিতে পারেনি। পাঠক পারবেন? ‘একদা’ কোনো এক বিপন্ন নারী মা ও বাবার কথা মাথা পেতে মেনে নিয়েছিল। কারণ? সে একটি অপরাধ করেছিল । বাবা তাকে নির্বাসন দিলেন। একটা মিথ্যে বিয়ের ঠাট্টাও মেনে নিল সেই উচ্চশিক্ষিত মেয়ে। অবিবাহিত মেয়ের সন্তান ধারণ করবার অপরাধ বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে? এটা হয় না। একদিন সেই অনাকাঙ্খিত সন্তান মাকে মুক্তি দিতেই বোধকরি পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখবার আগেই চলে গেল সেখানে, যেখান থেকে আর কোনোদিন সে ফিরে আসবে না।