Skip to Content
সম্মুখ সমর : ১১ নম্বর সেক্টর

Price:

200.00 ৳


সম্ভোগ থেকে সমাধি ১ ( ওশো)
সম্ভোগ থেকে সমাধি ১ ( ওশো)
200.00 ৳
250.00 ৳ (20% OFF)
সম্মোহন
সম্মোহন
225.00 ৳
250.00 ৳ (10% OFF)

সম্মুখ সমর : ১১ নম্বর সেক্টর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/39180/image_1920?unique=c9b40fd

200.00 ৳ 200.0 BDT 250.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সর্ব প্রথম সম্মুখ সমর হিসাবে ১১ নম্বর সেক্টরের এক্তিয়ারভুক্ত কামালপুর দুর্গ আক্রমণ এক চমকপ্রদ অধ্যায়ের সূচনা করে। কেননা এই আক্রমণের পূর্ব-পর্যন্ত বাংলাদেশের নবগঠিত নিয়মিত বাহিনী রেইড ও অ্যামবুশ করা ছাড়া ইতােপূর্বে কোনাে সুরক্ষিত দুর্গে অবস্থান করা শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে মুখােমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়নি। কাজেই নিয়মিত বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত এই সর্ব প্রথম আক্রমণই প্রমাণ করে মুক্তিকামী বাঙালি সৈনিকরা যেমন রাতের অন্ধকারে ব্রিজ উড়াতে, যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন। করতে কিংবা সুযােগ বুঝে রেইড-অ্যামবুশ করতে পারদর্শী; তেমনি সম্মুখ সমর এমনকি হাতাহাতি যুদ্ধেও পারদর্শী! এসব কারণে বলা যায় ওই সময়ে এই ধরনের একটি সম্মুখ সমরের সর্বিশেষ দরকার ছিল। কারণ তখন পর্যন্ত খণ্ড খণ্ড যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুক্তিকামী বাঙালি সৈনিকরা পিছু হটতে হটতে সীমান্তের ওপারে যেতে বাধ্য হয়। ফলে সঙ্গত কারণেই তাদের মনােবল কিছুটা ভেঙ্গে পড়ে। তাই তাদের মনােবল চাঙ্গা করার জন্য বিশেষ করে স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধাদের মনে সাহস বাড়ানাে তথা আত্মবিশ্বাস তৈরি : অর্থাৎ আধুনিক অস্ত্রবলে সুসজ্জিত এবং সুপ্রশিক্ষত পাকসেনাদের সুরক্ষিত ট্রেঞ্চ-বাংকার থেকে খেদিয়ে দেয়া তেমন বিশেষ কোনাে ব্যাপার নয়, যদি তারা গুলিকে ভয় না পায়। কামালপুর দুর্গের এই সম্মুখ সমরে ক্যাপটেন সালাউদ্দিন মমতাজ নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে সকল মুক্তিযােদ্ধাদের মনে এই বিশ্বাস এবং এই প্রেরণারই জন্ম দিয়ে যান। নির্যাতিত-নিপীড়িত-নিষ্পেষিত এবং পদদলিত মানবতার প্রতীক স্পার্টাকাস হয়তাে বা নিজে মরে যায়। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে মুহূর্তে-মুহূর্তে জন্ম নেয় নিষ্পেষিত মানবাত্মার লেলিহান বহ্নিশিখায় ইতিহাসের অমর বীরেরা। আর সে-কারণেই ক্যাপটেন সালাউদ্দিনের মৃত্যু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগামীতার অভিযানে এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায় যা সর্বদা আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল।

সাইদ হাসান দারা

সাইদ হাসান দারা মুক্তিযুদ্ধের লেখক-গবেষক হিসাবে সুপরিচিত ঔপন্যাসিক সাইদ হাসান দারা-কে একজন। বহুমাত্রিক লেখক হিসাবে আখ্যায়িত করলে খুব একটা ভুল হবে না। তিনি বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচনা করেছেন অসংখ্য নজরকাড়া আলােচিত উপন্যাস-আখ্যানউপাখ্যান এবং গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। পাশাপাশি তিনি ৯০ দশকের পুরােটা সময় জুড়ে দেশ-বিদেশের প্রচারবহুল জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক পত্রিকাসহ দেশ বিদেশের অগণিত লিটিল ম্যাগাজিনে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নানাবিধ প্রবন্ধও লিখেছেন। এবং স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন একজন। ব্যতিক্রমী চিন্তার লেখক-ঔপন্যাসিক হিসেবে। তিনি সর্বদাই একজন নিভৃতচারী লেখক; নিবিড় পরিচর্যায় মননী। গড়ে উঠেছেন নিজস্ব চিন্তায় এবং সর্বদা শিক্ষা নিয়েছেন প্রকৃতির পাঠশালা থেকে। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা তার অস্থিমজ্জায়-ইত্যকার প্রমাণ মিলবে তার সকল গ্রন্থে। তিনি ১৯৬৩ সালের ১০ আগস্ট পাবনা শহরের উপকণ্ঠে ছাতিয়ানী গ্রামের এক। সম্ভ্রান্ত ও শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

Title

সম্মুখ সমর : ১১ নম্বর সেক্টর

Author

সাইদ হাসান দারা

Publisher

Rodela Prokashani

Number of Pages

158

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Genocide
  • First Published

    FEB 2020

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সর্ব প্রথম সম্মুখ সমর হিসাবে ১১ নম্বর সেক্টরের এক্তিয়ারভুক্ত কামালপুর দুর্গ আক্রমণ এক চমকপ্রদ অধ্যায়ের সূচনা করে। কেননা এই আক্রমণের পূর্ব-পর্যন্ত বাংলাদেশের নবগঠিত নিয়মিত বাহিনী রেইড ও অ্যামবুশ করা ছাড়া ইতােপূর্বে কোনাে সুরক্ষিত দুর্গে অবস্থান করা শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে মুখােমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়নি। কাজেই নিয়মিত বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত এই সর্ব প্রথম আক্রমণই প্রমাণ করে মুক্তিকামী বাঙালি সৈনিকরা যেমন রাতের অন্ধকারে ব্রিজ উড়াতে, যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন। করতে কিংবা সুযােগ বুঝে রেইড-অ্যামবুশ করতে পারদর্শী; তেমনি সম্মুখ সমর এমনকি হাতাহাতি যুদ্ধেও পারদর্শী! এসব কারণে বলা যায় ওই সময়ে এই ধরনের একটি সম্মুখ সমরের সর্বিশেষ দরকার ছিল। কারণ তখন পর্যন্ত খণ্ড খণ্ড যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুক্তিকামী বাঙালি সৈনিকরা পিছু হটতে হটতে সীমান্তের ওপারে যেতে বাধ্য হয়। ফলে সঙ্গত কারণেই তাদের মনােবল কিছুটা ভেঙ্গে পড়ে। তাই তাদের মনােবল চাঙ্গা করার জন্য বিশেষ করে স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধাদের মনে সাহস বাড়ানাে তথা আত্মবিশ্বাস তৈরি : অর্থাৎ আধুনিক অস্ত্রবলে সুসজ্জিত এবং সুপ্রশিক্ষত পাকসেনাদের সুরক্ষিত ট্রেঞ্চ-বাংকার থেকে খেদিয়ে দেয়া তেমন বিশেষ কোনাে ব্যাপার নয়, যদি তারা গুলিকে ভয় না পায়। কামালপুর দুর্গের এই সম্মুখ সমরে ক্যাপটেন সালাউদ্দিন মমতাজ নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে সকল মুক্তিযােদ্ধাদের মনে এই বিশ্বাস এবং এই প্রেরণারই জন্ম দিয়ে যান। নির্যাতিত-নিপীড়িত-নিষ্পেষিত এবং পদদলিত মানবতার প্রতীক স্পার্টাকাস হয়তাে বা নিজে মরে যায়। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে মুহূর্তে-মুহূর্তে জন্ম নেয় নিষ্পেষিত মানবাত্মার লেলিহান বহ্নিশিখায় ইতিহাসের অমর বীরেরা। আর সে-কারণেই ক্যাপটেন সালাউদ্দিনের মৃত্যু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগামীতার অভিযানে এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায় যা সর্বদা আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল।
    No Specifications