Skip to Content
ময়মনসিংহের জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব (১৮৫৪-১৯৬০)

Price:

560.00 ৳


ময়মনসিংহ গীতিকা
ময়মনসিংহ গীতিকা
384.00 ৳
480.00 ৳ (20% OFF)
(অখণ্ড)
(অখণ্ড)
640.00 ৳
800.00 ৳ (20% OFF)

ময়মনসিংহের জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব (১৮৫৪-১৯৬০)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/15145/image_1920?unique=04faf5c

560.00 ৳ 560.0 BDT 700.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

চতুর্দশ শতাব্দিতে জমিদারি ব্যবস্থা মধ্যভারতে উদ্ভব হলেও বাংলায় প্রকৃত অর্থে তা প্রচলিত হয় মােগল আমলে বাংলার ইতিহাসের শত শত বছর জুড়ে গ্রামীণ জীবনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জমিদারি প্রতিষ্ঠান। এ দেশের জমিদারি নিয়ে কতিপয় গ্রন্থ রচিত হলেও তথ্যনির্ভর গবেষণাগ্রন্থের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আলােচ্য গ্রন্থটি মূলত মৌলিক ও প্রাথমিক তথ্য (Primary Document) সমৃদ্ধ একটি গবেষণা গ্রন্থ। ময়মনসিংহ রেকর্ডরুমসহ বিভিন্ন নির্ভরযােগ্য উৎস হতে তথ্য সংগ্রহক্রমে এ গ্রন্থে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ ভারতের সর্বাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা কালের পরিক্রমায় বিভক্ত হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশােরগঞ্জ জেলায় পরিণত হয়েছে। ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ জেলা খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচীন প্রাগজ্যোতিষ/ কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল যা মুসলিম শাসনামলে বিজিত হয়ে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীন এ ভূখণ্ডের ১৮৫৪-১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালীন জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব নিয়ে এ গবেষণা গ্রন্থ রচিত। মােগল যুগের প্রথম দিকে ময়মনসিংহের জমিদারিসমূহের সিংহভাগ ছিল ঈশা খাঁ মসনদ ই আলী ও তার বংশধরগণের মালিকানাধীন। ক্রমান্বয়ে এগুলাে অন্যান্য পরিবারে হস্তান্তরিত হতে থাকে। নবাব মুর্শিদকুলি খানের আমলে দুটি বড়াে জমিদারি- ‘আলাপসিংহ’ ও ‘ময়মনসিংহ' নবাবের কর্মচারী যথাক্রমে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য এবং শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর মালিকানায় চলে আসে। এছাড়া এ সময়ে আরাে বেশ কিছু জমিদারির পতন ও উত্থান হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে ঐতিহ্যবাহী অনেক জমিদারির পতন ঘটে এবং নতুন নতুন জমিদারির সৃষ্টি হয়। আবার নতুন জমিদারি অর্জন করে বেশ কয়েকটি জমিদারি বৃহদাকার রূপ ধারণ করে। বাংলা ও বিহারে সকল জেলার মধ্যে ময়মনসিংহেই বৃহদাকার (২০ হাজার একরের উর্ধ্বে) জমিদারির সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ময়মনসিংহ রেকর্ডরুম ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক রেকর্ড ও দলিলাদির ভিত্তিতে ১৮৫৪ সাল থেকে ১৯৬০ সাল অবধি জেলার জমিদারিসমূহের গঠন, আকৃতি, ইতিহাস, মালিকানা পরিবর্তন, মধ্যস্বত্ব ও রায়তিস্বত্ব, জমিদারি প্রশাসন ও বাজেট, হিন্দু-মুসলিম জমিদারির সংখ্যা এবং অন্যান্য জমিদারির পরিসংখ্যান ইত) নি আদ্যেপান্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ গ্রন্থে। এই ময়মনসিংহের জমিদার-রায়ত সম্পর্ক, জমিদারদের রহিতে কার্যক্রম, রায়ত নির্যাতন ও শােষণের নানা দিক, রায়তি হলেন, জমিদারি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কি দই ও এ গ্রন্থে আলােচিত হয়েছে। সর্বোপরি বটশ শক = ময়মনসিংহের কোন এলাকা কোন জমিদার ও ভুক্ত হল এবং সংশ্লিষ্ট সময়ে জমিদারির মালিক কর হ ত এ এই পাঠে জানা যাবে। সাধারণ পাঠকের বােধগম্য করে রুল ও সাবলীল ভয় প্রণীত ‘ময়মনসিংহের জমিদারি ও ভূমিহতু ১৮৫৪-১৯৬০ গ্রন্থটি প্রামাণ্য ঐতিহাসিক তথ্য নির্ভর একটি গবেষক গ্রন্থ। জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব সম্পর্কে অনুসৰি ক = গবেষক এ গ্রন্থে বর্ণিত সময়কালীন ময়মনসিংহের ভুত সমাজকাঠামােয় ঔপনিবেশিক শাসক, জমিদার, মধ্যস্বত্ব ও রায়তপ্রজার অবস্থান ও তাদের মধ্যে পাক হই, ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সঃ বলেভে সক্ষম হবে।

হাফিজুর রহমান ভূঞা

হাফিজুর রহমান ভূঞা ( জন্ম, ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ) ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ হতে অনার্স ও মাষ্টার্স এবং ইতিহাস বিভাগ হতে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের বি.সি.এস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ১৯৮৩ সালে কক্সবাজারে মহকুমা প্রশাসক কার্যালয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে তিনি চাকুরিজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে ময়মনসিংহে এবং নরসিংদীর পলাশে উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ও ধর্মপাশায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এবং সিলেট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০১ সাল হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দিনাজপুর ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় জেলা প্রশাসক, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপােরেশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার পদে নিযুক্ত হন এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার পদে নিয়ােজিত ছিলেন। চাকুরিকালীন সময়ে তিনি চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর করেন। ২০১৫ সালে তিনি সরকারি চাকুরি হতে অবসর গ্রহণ করেন। চাকুরির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাকর্মে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর বেশ কিছু গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ: সিলেট বিভাগের প্রশাসন ও ভূমি ব্যবস্থা (১৯৯৯), যুগপরম্পরায় বাংলার ভূমি আইন ও ভূমি ব্যবস্থা (তিন খণ্ড) (২০০২-২০০৪), অবিভক্ত রাজশাহী বিভাগের সমস্যা ও সম্ভাবনা (সম্পাদিত) (২০১০)।

Title

ময়মনসিংহের জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব (১৮৫৪-১৯৬০)

Author

হাফিজুর রহমান ভূঞা

Publisher

Asiatic Society of Bangladesh

Number of Pages

350

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History-M
  • First Published

    FEB 2018

    চতুর্দশ শতাব্দিতে জমিদারি ব্যবস্থা মধ্যভারতে উদ্ভব হলেও বাংলায় প্রকৃত অর্থে তা প্রচলিত হয় মােগল আমলে বাংলার ইতিহাসের শত শত বছর জুড়ে গ্রামীণ জীবনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল জমিদারি প্রতিষ্ঠান। এ দেশের জমিদারি নিয়ে কতিপয় গ্রন্থ রচিত হলেও তথ্যনির্ভর গবেষণাগ্রন্থের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আলােচ্য গ্রন্থটি মূলত মৌলিক ও প্রাথমিক তথ্য (Primary Document) সমৃদ্ধ একটি গবেষণা গ্রন্থ। ময়মনসিংহ রেকর্ডরুমসহ বিভিন্ন নির্ভরযােগ্য উৎস হতে তথ্য সংগ্রহক্রমে এ গ্রন্থে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ ভারতের সর্বাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা কালের পরিক্রমায় বিভক্ত হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশােরগঞ্জ জেলায় পরিণত হয়েছে। ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ জেলা খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচীন প্রাগজ্যোতিষ/ কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল যা মুসলিম শাসনামলে বিজিত হয়ে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীন এ ভূখণ্ডের ১৮৫৪-১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালীন জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব নিয়ে এ গবেষণা গ্রন্থ রচিত। মােগল যুগের প্রথম দিকে ময়মনসিংহের জমিদারিসমূহের সিংহভাগ ছিল ঈশা খাঁ মসনদ ই আলী ও তার বংশধরগণের মালিকানাধীন। ক্রমান্বয়ে এগুলাে অন্যান্য পরিবারে হস্তান্তরিত হতে থাকে। নবাব মুর্শিদকুলি খানের আমলে দুটি বড়াে জমিদারি- ‘আলাপসিংহ’ ও ‘ময়মনসিংহ' নবাবের কর্মচারী যথাক্রমে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য এবং শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরীর মালিকানায় চলে আসে। এছাড়া এ সময়ে আরাে বেশ কিছু জমিদারির পতন ও উত্থান হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে ঐতিহ্যবাহী অনেক জমিদারির পতন ঘটে এবং নতুন নতুন জমিদারির সৃষ্টি হয়। আবার নতুন জমিদারি অর্জন করে বেশ কয়েকটি জমিদারি বৃহদাকার রূপ ধারণ করে। বাংলা ও বিহারে সকল জেলার মধ্যে ময়মনসিংহেই বৃহদাকার (২০ হাজার একরের উর্ধ্বে) জমিদারির সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ময়মনসিংহ রেকর্ডরুম ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক রেকর্ড ও দলিলাদির ভিত্তিতে ১৮৫৪ সাল থেকে ১৯৬০ সাল অবধি জেলার জমিদারিসমূহের গঠন, আকৃতি, ইতিহাস, মালিকানা পরিবর্তন, মধ্যস্বত্ব ও রায়তিস্বত্ব, জমিদারি প্রশাসন ও বাজেট, হিন্দু-মুসলিম জমিদারির সংখ্যা এবং অন্যান্য জমিদারির পরিসংখ্যান ইত) নি আদ্যেপান্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ গ্রন্থে। এই ময়মনসিংহের জমিদার-রায়ত সম্পর্ক, জমিদারদের রহিতে কার্যক্রম, রায়ত নির্যাতন ও শােষণের নানা দিক, রায়তি হলেন, জমিদারি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কি দই ও এ গ্রন্থে আলােচিত হয়েছে। সর্বোপরি বটশ শক = ময়মনসিংহের কোন এলাকা কোন জমিদার ও ভুক্ত হল এবং সংশ্লিষ্ট সময়ে জমিদারির মালিক কর হ ত এ এই পাঠে জানা যাবে। সাধারণ পাঠকের বােধগম্য করে রুল ও সাবলীল ভয় প্রণীত ‘ময়মনসিংহের জমিদারি ও ভূমিহতু ১৮৫৪-১৯৬০ গ্রন্থটি প্রামাণ্য ঐতিহাসিক তথ্য নির্ভর একটি গবেষক গ্রন্থ। জমিদারি ও ভূমিস্বত্ব সম্পর্কে অনুসৰি ক = গবেষক এ গ্রন্থে বর্ণিত সময়কালীন ময়মনসিংহের ভুত সমাজকাঠামােয় ঔপনিবেশিক শাসক, জমিদার, মধ্যস্বত্ব ও রায়তপ্রজার অবস্থান ও তাদের মধ্যে পাক হই, ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সঃ বলেভে সক্ষম হবে।
    No Specifications