Skip to Content
তুমি কোন গগনের তারা

Price:

240.00 ৳


তুমি কেমন আছ ?
তুমি কেমন আছ ?
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
তুমি ফিরবে বলে (মেইল ভার্সন)
তুমি ফিরবে বলে (মেইল ভার্সন)
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)

তুমি কোন গগনের তারা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/24499/image_1920?unique=479c0a1

240.00 ৳ 240.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আমার মা, অতি সাধারণ ধর্মপরায়ন এক বাঙালি নারী । প্রায়। সাড়ে তিন বছর আগে মা গত হয়েছেন। অতি সাধারণ হয়েও। আমার মা ছিলেন অসাধারণ। এ গ্রন্থে ১৯৩৮/৩৯ সাল থেকে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমার মায়ের জীবনের বিভিন্ন বিষয় ও । ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ সময়ে পারিবারিক,। সামাজিক, রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিকতায় মায়ের নিজ দায়বদ্ধতা থেকে করা কাজগুলােই গল্পে এসেছে ।। চট্টগ্রামের অত্যন্ত রক্ষণশীল বহদ্দার বাড়ির মেয়ে আমার মা। শায়েস্তা খানম। এ বাড়ির মেয়েদের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে। দেয়া হতাে। বহদ্দার বাড়িতে নারীশিক্ষার চল ছিল না। বললেই চলে। কিন্তু এ-বাড়িরই এক মেয়ে, আমার মা সেই। ৩০ এর দশকে চট্টগ্রামের নামকরা খাস্তগীর সরকারি (তখন। সরকারি ছিল কিনা জানি না) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পড়তেন। শুনেছি, প্রথম দিকে মাকে ঘােড়ার গাড়িতে করে চারদিকে কাপড় দিয়ে ঘেরা টোপে ঢেকে স্কুলে পাঠানাে। হতাে। কিন্তু বাধা আসতে লাগলাে চারদিক থেকে। রাতে বাড়ির টিনের চালে ঢিল পড়া শুরু হলাে। অবশেষে নির্বিঘ্নে লেখা-পড়া করার জন্য আমার নানা-নানু, মাকে স্কুলের হােস্টেলে পাঠিয়ে দিলেন। আমার মা হােস্টেলে থেকে লেখা-পড়া চালিয়ে দশম শ্রেণিতে উঠলেন । সেটা ১৯৪৩। সালের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামও এর বাইরে ছিল না। আমার মায়ের স্কুলে যাওয়া। বন্ধ হয়ে গেল । শুধু স্কুলই বন্ধ হলাে না, সেই যুদ্ধের। ডামাডােলে ১৯৪৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া। মহকুমা (বর্তমানে উপজেলা) নিবাসী আমার বাবা জাকির। হােসেনের সাথে আমার মায়ের বিয়ে হয়ে গেল । তারপরের জীবন কেমন ছিল আমার মায়ের? উননব্বই বছরের জীবনে সন্তান, সংসার, সমাজ, দেশের জন্য কি। করেছিলেন আমার মা? মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে সেটাই বিশ্বস্ততার সাথে লিপিবদ্ধ করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস ‘তুমি কোন। গগনের তারা। পাঠকের ভালােলাগার মাঝেই হবে লেখকের। সার্থকতা।

শিরিন হোসেন

শিরিন হােসেন জন্ম: মে ৩১, ১৯৫৫ মা- শায়েস্তা খানম, বাবা- জাকির হােসেন। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে কুমিল্লায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স এবং গ্রেট বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস থেকে সােস্যাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করেছেন শৈশব থেকে আজ অবধি শিশু-কিশাের সংগঠন কচি-কাঁচার মেলার সাথে যুক্ত । নেশা- খেলাধুলা, গান শােনা ও দেশ-বিদেশ ভ্রমণ দেশের বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, ইথিওপিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভূটান, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও ভারত। প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন, স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিতে এ খেলার সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সনে মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী থাকাকালীন পূর্ব পাকিস্তান বয়সভিত্তিক মহিলা ব্যাডমিন্টন। চ্যাম্পিয়ান ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৪ সনে ডাকসু এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযােগিতায় । চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলেন ছিলেন একজন এথলেট। আন্তঃস্কুল জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে দৌড় ও লং জাম্প। প্রতিযােগিতায় বহু পুরস্কার অর্জন করেন।। পেশাজীবন শুরু করেন ১৯৮০ সনে বেসরকারি কুমিল্লা অজিত গুহ কলেজের প্রভাষক হিসেবে। ১৯৮৩ সনে যােগ দেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) তে। ১৯৯৫ সনে কাজ শুরু করেন জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। এ। দীর্ঘ ২২ বছর ইউনিসেফে চাকরি শেষে ২০১৭ সালে লেখক চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন

Title

তুমি কোন গগনের তারা

Author

শিরিন হোসেন

Publisher

Golpokar

Number of Pages

135

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Biography
  • First Published

    FEB 2021

    আমার মা, অতি সাধারণ ধর্মপরায়ন এক বাঙালি নারী । প্রায়। সাড়ে তিন বছর আগে মা গত হয়েছেন। অতি সাধারণ হয়েও। আমার মা ছিলেন অসাধারণ। এ গ্রন্থে ১৯৩৮/৩৯ সাল থেকে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমার মায়ের জীবনের বিভিন্ন বিষয় ও । ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ সময়ে পারিবারিক,। সামাজিক, রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিকতায় মায়ের নিজ দায়বদ্ধতা থেকে করা কাজগুলােই গল্পে এসেছে ।। চট্টগ্রামের অত্যন্ত রক্ষণশীল বহদ্দার বাড়ির মেয়ে আমার মা। শায়েস্তা খানম। এ বাড়ির মেয়েদের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে। দেয়া হতাে। বহদ্দার বাড়িতে নারীশিক্ষার চল ছিল না। বললেই চলে। কিন্তু এ-বাড়িরই এক মেয়ে, আমার মা সেই। ৩০ এর দশকে চট্টগ্রামের নামকরা খাস্তগীর সরকারি (তখন। সরকারি ছিল কিনা জানি না) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পড়তেন। শুনেছি, প্রথম দিকে মাকে ঘােড়ার গাড়িতে করে চারদিকে কাপড় দিয়ে ঘেরা টোপে ঢেকে স্কুলে পাঠানাে। হতাে। কিন্তু বাধা আসতে লাগলাে চারদিক থেকে। রাতে বাড়ির টিনের চালে ঢিল পড়া শুরু হলাে। অবশেষে নির্বিঘ্নে লেখা-পড়া করার জন্য আমার নানা-নানু, মাকে স্কুলের হােস্টেলে পাঠিয়ে দিলেন। আমার মা হােস্টেলে থেকে লেখা-পড়া চালিয়ে দশম শ্রেণিতে উঠলেন । সেটা ১৯৪৩। সালের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামও এর বাইরে ছিল না। আমার মায়ের স্কুলে যাওয়া। বন্ধ হয়ে গেল । শুধু স্কুলই বন্ধ হলাে না, সেই যুদ্ধের। ডামাডােলে ১৯৪৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া। মহকুমা (বর্তমানে উপজেলা) নিবাসী আমার বাবা জাকির। হােসেনের সাথে আমার মায়ের বিয়ে হয়ে গেল । তারপরের জীবন কেমন ছিল আমার মায়ের? উননব্বই বছরের জীবনে সন্তান, সংসার, সমাজ, দেশের জন্য কি। করেছিলেন আমার মা? মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে সেটাই বিশ্বস্ততার সাথে লিপিবদ্ধ করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস ‘তুমি কোন। গগনের তারা। পাঠকের ভালােলাগার মাঝেই হবে লেখকের। সার্থকতা।
    No Specifications