Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)
Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)
International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.
3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable
Multiple Payment Methods
Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available.
আহমদ ছফা ‘অলাতচক্র’ উপন্যাসটি লিখেছিলেন ১৯৮৫ সালে। সাপ্তাহিক ‘নিপুণ’ পত্রিকার ঈদ সংখ্যার জন্য লেখাটি তাঁকে লিখতে হয়েছিল। শুরুর তারিখটি ছিল ১০ মে। মাত্র বারদিনের মাথায় লেখাটি তাঁকে শেষ করতে হয়েছিল। অনেকটা তাড়াহুড়োর মধ্যে। ব্যত্যয় ঘটলে এ পত্রিকার মাধ্যমে উপন্যাসটি আলোর মুখ দেখত না। উপন্যাসটি তো নিপুণে প্রকাশ পেল। কিন্তু লেখাটি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। নানাজনের আপত্তিও ছিল। তখনই তিনি ঠিক করেছিলেন উপন্যাসটি পুনরায় লিখবেন। এ কাজে তাঁকে নামতে হয়েছে আরও কয়েক বছর পরে। নানা জনের আপত্তির কারণে তিনি উপন্যাসের কয়েকটি চরিত্রের নামও পরিবর্তন করেছিলেন।
অনেক চড়াইউতরাই পেরিয়ে ১৯৯৩ সালে মুক্তধারা থেকে উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এটা পাঠকের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। কিন্তু নিপুণে প্রকাশিত সেই আদিরূপটির কথা আমরা বিলকুল ভুলে গিয়েছিলাম। মানুষের অন্তদৃষ্টি প্রখর না হলে এমনতর হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন ভুলেননি, তিনি পণ্ডিত ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি আদিরূপটি খুঁজে পাবার জন্য যত্রতত্র চষে বেড়িয়েছেন। একসময় তিনি সফলও হয়েছেন। তাঁর মতে, আহমদ ছফার সাহিত্যে অলাতচক্রের আগের লেখাটির ঐতিহাসিক মূল্য কম নয়।
তিনি লেখাটি উদ্ধারের পর তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত এবং এ কে এম আতিকুজ্জামান সম্পাদিত পত্রিকা ‘অর্থে’ হুবহু ছেপেছেন কোন রকম পরিবর্তন, পরিমার্জন ছাড়াই। ড. খান তারই কোমল কপিট আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যেই কারণে কোন রকম বাড়তি ভোগান্তিতে আমাদের পড়তে হয়নি। অর্থ পত্রিকার ছাপা লেখাটি আমরা অলাতচক্রের আদিরূপ হিসেবে অনেকটা কপি করেই এখানে জুড়ে দিলাম। ড. খানের অনুরোধে একাজটি করতে হল, তাঁর প্রতি সম্মান রেখে। পরিশিষ্টে তাঁর একটি মূল্যবান আলোচনাও সংযুক্ত করে দেয়া হল। এ লেখাটির মাধ্যমে অলাতচক্র উপন্যাসের আদি এবং নতুন দুটি রূপের সাদৃশ এবং বৈসাদৃশ্যের ক্ষেত্রেগুলো খুঁজে পেতে পাঠকদেরকে সাহায্য করবে। আশা করি।
আহমদ ছফা ‘অলাতচক্র’ উপন্যাসটি লিখেছিলেন ১৯৮৫ সালে। সাপ্তাহিক ‘নিপুণ’ পত্রিকার ঈদ সংখ্যার জন্য লেখাটি তাঁকে লিখতে হয়েছিল। শুরুর তারিখটি ছিল ১০ মে। মাত্র বারদিনের মাথায় লেখাটি তাঁকে শেষ করতে হয়েছিল। অনেকটা তাড়াহুড়োর মধ্যে। ব্যত্যয় ঘটলে এ পত্রিকার মাধ্যমে উপন্যাসটি আলোর মুখ দেখত না। উপন্যাসটি তো নিপুণে প্রকাশ পেল। কিন্তু লেখাটি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। নানাজনের আপত্তিও ছিল। তখনই তিনি ঠিক করেছিলেন উপন্যাসটি পুনরায় লিখবেন। এ কাজে তাঁকে নামতে হয়েছে আরও কয়েক বছর পরে। নানা জনের আপত্তির কারণে তিনি উপন্যাসের কয়েকটি চরিত্রের নামও পরিবর্তন করেছিলেন।
অনেক চড়াইউতরাই পেরিয়ে ১৯৯৩ সালে মুক্তধারা থেকে উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এটা পাঠকের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। কিন্তু নিপুণে প্রকাশিত সেই আদিরূপটির কথা আমরা বিলকুল ভুলে গিয়েছিলাম। মানুষের অন্তদৃষ্টি প্রখর না হলে এমনতর হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন ভুলেননি, তিনি পণ্ডিত ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি আদিরূপটি খুঁজে পাবার জন্য যত্রতত্র চষে বেড়িয়েছেন। একসময় তিনি সফলও হয়েছেন। তাঁর মতে, আহমদ ছফার সাহিত্যে অলাতচক্রের আগের লেখাটির ঐতিহাসিক মূল্য কম নয়।
তিনি লেখাটি উদ্ধারের পর তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত এবং এ কে এম আতিকুজ্জামান সম্পাদিত পত্রিকা ‘অর্থে’ হুবহু ছেপেছেন কোন রকম পরিবর্তন, পরিমার্জন ছাড়াই। ড. খান তারই কোমল কপিট আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যেই কারণে কোন রকম বাড়তি ভোগান্তিতে আমাদের পড়তে হয়নি। অর্থ পত্রিকার ছাপা লেখাটি আমরা অলাতচক্রের আদিরূপ হিসেবে অনেকটা কপি করেই এখানে জুড়ে দিলাম। ড. খানের অনুরোধে একাজটি করতে হল, তাঁর প্রতি সম্মান রেখে। পরিশিষ্টে তাঁর একটি মূল্যবান আলোচনাও সংযুক্ত করে দেয়া হল। এ লেখাটির মাধ্যমে অলাতচক্র উপন্যাসের আদি এবং নতুন দুটি রূপের সাদৃশ এবং বৈসাদৃশ্যের ক্ষেত্রেগুলো খুঁজে পেতে পাঠকদেরকে সাহায্য করবে। আশা করি।
No Specifications