Skip to Content
মেঘের ছায়া

Price:

160.00 ৳


মেঘের ওপাশে আকাশ
মেঘের ওপাশে আকাশ
108.00 ৳
135.00 ৳ (20% OFF)
মেঘের দেশে পায়েল
মেঘের দেশে পায়েল
152.00 ৳
190.00 ৳ (20% OFF)

মেঘের ছায়া

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/38108/image_1920?unique=e22244d

160.00 ৳ 160.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রেহানা গ্লাসভর্তি তেঁতুলের সরবত নিয়ে যাচ্ছিলেন, শুভ্র’র ঘরের কাছে এসে থমকে দাঁড়ালেন। চাপা হাসির শব্দ আসছে। শুভ্র হাসছে। রাত একটা বাজে। শুভ্রের ঘরের বাতি নেভানাে। সে অন্ধকারে হাসছে কেন? মানুষ কখনাে অন্ধকারে হাসে না। কাঁদতে হয় অন্ধকারে, হাসতে হয় আলােয়। রেহানা ডাকলেন, ‘শুভ্র !’ শুভ্র হাসি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, কি মা? ‘কি করছিস?” ‘ঘুমুচ্ছিলাম, হঠাৎ ঘুম ভাঙল। রাত কত মা?” ‘একটা বাজে। তাের কি কিছু লাগবে?” ‘না। শুভ্র আবার হাসছে। শব্দ করে হাসছে। রেহানা চিন্তিত মুখে সরবতের গ্লাস নিয়ে শােবার ঘরে ঢুকলেন। কেন জানি শুভ্রকে নিয়ে তাঁর চিন্তা লাগছে। তাঁর মনে হচ্ছে শুভ্র’র কোনাে সমস্যা হয়েছে। ইয়াজউদ্দিন সাহেব খালিগায়ে ফ্যানের নিচে বসে আছেন। কার্তিক মাস, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। শীত নেমে গেছে। ঘুমুতে হয় গায়ে পাতলা চাদর দিয়ে। এই সময়ে খালি গায়ে ফ্যানের নিচে বসে থাকার অর্থ হয় না। ইয়াজউদ্দিন সাহেব বসে আছেন, কারণ তাঁর গরম লাগছে। অল্প-অল্প ঘাম হচ্ছে। বুকে চাপা ব্যথা অনুভব করছেন। তাঁর ধারণা, তিনি হার্ট অ্যাটাক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য যে-কেউ এই অবস্থায় ঘাবড়ে যেত। ইয়াজউদ্দিন সাহেব খুব স্বাভাবিক আছেন। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গ্লাসে কি? ‘তেঁতুলের সরবত। বিট লবণ, চিনি, তেঁতুল। খাও, ভালাে লাগবে। ইয়াজউদ্দিন সাহেব কোনাে তর্কের ভেতর গেলেন না। গ্লাস হাতে নিলেন। রেহানার নির্বুদ্ধিতায় মাঝে-মাঝে তিনি পীড়িত বােধ করেন। আজও করছেন। তাঁর কি সমস্যা রেহানা জানে না। রেহানাকে বলা হয় নি। অথচ সে তেঁতুলের সরবত নিয়ে এসেছে, এবং রেহানার ধারণা হয়েছে এই সরবত খেলে ইয়াজউদ্দিন সাহেবের ভালো লাগবে। কে তাকে এইসব চিকিৎসা শিখিয়েছে? বছর দুই আগে তাঁর একবার তীব্র

হুমায়ুন আহমেদ

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়

Title

মেঘের ছায়া

Author

হুমায়ুন আহমেদ

Publisher

Abosar Prokashona Sangstha

Number of Pages

92

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    FEB 2016

    রেহানা গ্লাসভর্তি তেঁতুলের সরবত নিয়ে যাচ্ছিলেন, শুভ্র’র ঘরের কাছে এসে থমকে দাঁড়ালেন। চাপা হাসির শব্দ আসছে। শুভ্র হাসছে। রাত একটা বাজে। শুভ্রের ঘরের বাতি নেভানাে। সে অন্ধকারে হাসছে কেন? মানুষ কখনাে অন্ধকারে হাসে না। কাঁদতে হয় অন্ধকারে, হাসতে হয় আলােয়। রেহানা ডাকলেন, ‘শুভ্র !’ শুভ্র হাসি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, কি মা? ‘কি করছিস?” ‘ঘুমুচ্ছিলাম, হঠাৎ ঘুম ভাঙল। রাত কত মা?” ‘একটা বাজে। তাের কি কিছু লাগবে?” ‘না। শুভ্র আবার হাসছে। শব্দ করে হাসছে। রেহানা চিন্তিত মুখে সরবতের গ্লাস নিয়ে শােবার ঘরে ঢুকলেন। কেন জানি শুভ্রকে নিয়ে তাঁর চিন্তা লাগছে। তাঁর মনে হচ্ছে শুভ্র’র কোনাে সমস্যা হয়েছে। ইয়াজউদ্দিন সাহেব খালিগায়ে ফ্যানের নিচে বসে আছেন। কার্তিক মাস, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। শীত নেমে গেছে। ঘুমুতে হয় গায়ে পাতলা চাদর দিয়ে। এই সময়ে খালি গায়ে ফ্যানের নিচে বসে থাকার অর্থ হয় না। ইয়াজউদ্দিন সাহেব বসে আছেন, কারণ তাঁর গরম লাগছে। অল্প-অল্প ঘাম হচ্ছে। বুকে চাপা ব্যথা অনুভব করছেন। তাঁর ধারণা, তিনি হার্ট অ্যাটাক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য যে-কেউ এই অবস্থায় ঘাবড়ে যেত। ইয়াজউদ্দিন সাহেব খুব স্বাভাবিক আছেন। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গ্লাসে কি? ‘তেঁতুলের সরবত। বিট লবণ, চিনি, তেঁতুল। খাও, ভালাে লাগবে। ইয়াজউদ্দিন সাহেব কোনাে তর্কের ভেতর গেলেন না। গ্লাস হাতে নিলেন। রেহানার নির্বুদ্ধিতায় মাঝে-মাঝে তিনি পীড়িত বােধ করেন। আজও করছেন। তাঁর কি সমস্যা রেহানা জানে না। রেহানাকে বলা হয় নি। অথচ সে তেঁতুলের সরবত নিয়ে এসেছে, এবং রেহানার ধারণা হয়েছে এই সরবত খেলে ইয়াজউদ্দিন সাহেবের ভালো লাগবে। কে তাকে এইসব চিকিৎসা শিখিয়েছে? বছর দুই আগে তাঁর একবার তীব্র
    No Specifications